নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ব্যাটিং দিয়ে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া কি কল্পনাও করেছিল যে দ্বিতীয় সেশনে তাদের আবার ব্যাটে নামতে হবে? ভারতের মাটিতে এমন দুঃস্বপ্ন দেখার সাধ্যিই বা কার। কিন্তু দিন শেষে এটাই বাস্তবচিত্র। ভারতকে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে ৪ উইকেটে ১৪৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া, লিড ২৯৮ রানের। অপরাজিত ৫৯ রানে দলকে পথ দেখাচ্ছেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ নিজে।
নিজেদের শক্তির জায়গাটা বিবেচনায় নিয়েই প্রতিপক্ষকে ফাঁদে ফেলতে স্পিনবান্ধব পিচ বানিয়েছিল ভারত। কিন্তু উল্টো সেই ফাঁদে আটকা পড়তে হল নিজেদের। স্টিভ ও’কিফের ঘূর্ণিতে মাত্র ১১ রানে তারা হারিয়ে বসে ৭ উইকেট! ভারতের ইতিহাসে যা এই প্রথম। মাত্র ২৪ বলের এক স্পেলে ৫ রানে একাই ৬ উইকেট নেন ও’কিফে। মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান পৌঁছান দুই অঙ্কে। এর মধ্যে লোকেশ রাহুলেরই একার ৬৪ রান। এর আগে ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ১৮ রানে ৭ উইকেট হারিযেছিল তারা।
৩ উইকেটে ৯৪ থেকে ও’কিফের সেই স্বপ্নীল ওভার শেষে হয়ে গেল ৯৫/৬! শুরুটা ভারতীয় ইনিংসের প্রাণ লোকেশ রাহুলকে বোকা বানিয়ে। অহেতুক তেড়ে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাঝমাঠে ক্যাচ তোলেন লোকেশ। এক বল পরে সিøপে হ্যান্ডসকম্বের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন রাহানে। তারও একবল পর সিøপেই ঋদ্ধিমান শাহাকে স্মিথের ক্যাচে পরিণত করেন ডানহাতি ৩২ বছর বয়সী এই স্পিনার। পরের ওভারে আশ্বিনকে ফেরান নাথান লায়ন। নিজের পরের তিন ওভারে জাদেজা, জয়ন্ত ও উমেশ যাদবকে ফিরিয়ে ভারতকে দেন ১০৫ রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা। সব মিলে ও’কিফের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংটি ছিল ১৩.১ ওভারে ৩৫ রানে ৬ উইকেট।
শুরুটা অবশ্য করেন পেসাররাই। ২৬ রানে মুরালি বিজয়কে ফিরিয়ে পথ দেখান জস হ্যাজেলউড। সেই পথ ধরেই দুর্দান্ত বোলিংয়ে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দুই ব্যাটসম্যান চেতস্বর পুজারা ও বিরাট কোহলিকে নিজের শিকারে পরিণত করেন স্টার্ক। পুজারা ফেরানোর এক বল পরেই শূন্য রানে হ্যান্ডসকম্বের ক্যাচে পরিণত হন ভারত অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০৪ ইনিংস পর কোনো রান না করেই আউট হলেন কোহলি। এটিই অবশ্য নিজেদের মাটিতে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর নয়। নিজেদের মাঠে এর চেয়ে কম রানে আরো দশবার গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড আছে তাদের। সর্বনিম্ন ৭৫ রানে, ১৯৮৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তবে ২০০৮ সালে আহমেদাবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৭৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার স্মৃতি হয়তো অনেকেরই মনে থাকবে। সেই দশ ইনিংসে মাত্র একবারই জয়ের রেকর্ড আছে ভারতের, হার ছয়টিতে।
জবাবে ১১৩ রানে ৪ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে অবিচ্ছিন্ন ৩০ রানের জুটিতে। যেখানে ৫৯ রান নিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্মিথ। ভারতের বিপক্ষে মাত্র সাত টেস্টে এক হাজার রান পূর্ণ করেন বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। ৩ উইকেট নেন আশ্বিন, বাকিটা আরেক স্পিনার জয়ন্তের।
সফরকারীদের শারীরিক ভাষাই বলে দিচ্ছিল আটঘাট বেঁধেই এবার ভারতে পা রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। ও’কিফের ওমন দুর্দান্ত বোলিং, পিটার হ্যান্ডসকম্বের অবিশ্বাস্য সব ক্যাচ এবং দিনের শেষভাগে অধিনায়কের অমন দায়িত্বশীল ব্যাটিংÑ সব মিলে স্বপ্নীল একটা দিনই পার করেছে অজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।