নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে ঢাকা আবাহনী গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল। এবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে। এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার পচেয়ন সিটিজেন ক্লাবের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা। এ কারণে এবারের আসর থেকেও গ্রুপ পর্বেই বিদায়ের ঘন্টা বাজতে চলেছে দেশের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব দলটির। তবে এখনও সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে লীগ চ্যাম্পিয়ান ঢাকা আবাহনী। ২৩ ফেব্রুয়ারি গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কিরগিজস্তানের এফসি আলগা দলকে হারিয়ে এই টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে চায় তারা। অবশ্য শেষ ম্যাচে শুধু জিতলেই হবে না, বড় ব্যবধানে জয়ের পাশাপাশি গ্রুপের প্রতিপক্ষ দলগুলোর জয়-পরাজয়ের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের। যদিও এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘোষণা দিয়ে আবাহনীর কোচ দ্রাগো ম্যামিচ বলেছিলেন, পাঁচদিনে তিনটি ম্যাচ খেলা অনেক কঠিন ব্যাপার। খেলোয়াড়দের ওপর বাড়তি চাপ হবে। সেটিই যেন দেখা গেল গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার পচেয়ন ক্লাবের বিপক্ষে আবাহনীর খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে। গতকালের ম্যাচটিতে বড়ই ক্লান্ত লাগছিল তাদের। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অতিথি দলের সঙ্গে পেরে উঠছিল না তারা। তারপরও গোলশূন্য ড্র হওয়ায় খুশি আবাহনীর কোচ। তবে জয়ের সুভাস পেয়েও শেষ পর্যন্ত ড্র হওয়ায় অসন্তুষ্ট পচেয়ন ক্লাবের কোচ কিম জে ইয়ং।
এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই ম্যাচের ৪৩ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার দলটি ডি-বক্সের সামনে ফ্রি-কিক পায়। মিডফিল্ডার কিয়ং ডিউক যে ফ্রি-কিকটি নেন তা আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল ফিস্ট করে দলকে নিশ্চিত গোল হজম থেকে রক্ষা করেন। পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে যায় ঢাকা আবাহনী। ডানপ্রান্ত থেকে ফরোয়ার্ড জনাথন ডি-বক্সে লব করেন। ডি-বক্সে জটলায় দাঁড়ানো ফরোয়ার্ড এমেকা চমৎকার হেড করেন। পচেয়ন ক্লাবের গোলকিপার সিয়ং ফিস্ট করে দলকে বিপদমুক্ত করেন। বিরতির পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় দক্ষিণ কোরিয়ার দলটি। ৬৮ মিনিটে ডি-বক্সের সামনে থেকে গোলমুখে জোরালো শট নেন পচেয়ন ক্লাবের ডিফেন্ডার লি সিয়োনো। সেটি ক্রসবারে লেগে বাইরে চলে যায়। ফলে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। ৮৮ মিনিটে আবাহনীর ফরেয়ার্ড জনাথন ডানপ্রান্ত দিয়ে এগিয়ে গিয়ে ডি-বক্সে দাঁড়ানো বদলি ফরোয়ার্ড জীবনকে পাস দেন। গোলমুখে শট নেন জীবন। তা অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ম্যাচের বাকি সময় দু’দলের কেউই আর গোলের ভালো সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দু’দল। মাঝমাঠে ভালো পারফরম্যান্সের সুবাদে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্লাব দলটির মিডফিল্ডার হোয়াং জিন স্যান ম্যাচ সেরা হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।