নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর আজ থেকে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে। আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী সকল সীমাবদ্ধতাকে পেছনে ফেলে ফুটবল উৎসব করতে চাইলেও কোথায় যেন অমিল থেকেই যাচ্ছে। এ টুর্নামেন্টটি আন্তর্জাতিক মানের হলেও গতকাল পর্যন্ত মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত করতে পারেনি। দলগুলোর প্র্যাকটিস সিডিউল সাংবাদিকদের দেয়া হয়নি। প্রচারণায় রয়েছে ঘাটতি। ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর খেলোয়াড়রা বিকেল ৫টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের মাঠে অনুশীলন করতে আসলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বাধার সম্মুখীন হয়ে পড়ে। তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয় মাঠে অনুশীলন করা যাবে না। এ নিয়ে আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ রায় রুপুর সাথে টেলিফোনে কিছু বাকবিতÐা করতে দেখা যায়। পরবর্তীতে তাদেরকে মাঠে অনুশীলনের অনুমতি দেয়া হয়। এবারের দ্বিতীয় আসর শেখ কামাল ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আজ উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। উদ্বোধনী দিনে দু’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৪টায় কিরগিজস্তানের এফসি আলগা, দক্ষিণ কোরিয়ার পোচেয়ন সিটিজেন ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলবে। সন্ধ্যা ৭টায় ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী মালদ্বীপ টিসি স্পোর্টস ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলবে। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় ও বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এবারের টুর্নামেন্টে ৮টি দল অংশগ্রহণ করছে।
এদিকে গতকাল ঢাকা আবাহনী এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলনের পূর্বে কোচ দ্রাগো মামিচ বলেছেন, আবাহনী এ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ১০ দিনের ক্যাম্প করেছে। আশা করি টুর্নামেন্টে আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। তবে প্রথম পর্যায়ে পাঁচ দিনে তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে এটি খেলোয়াড়দের জন্য একটি বাড়তি চাপ। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি দলগুলো ভালো দল নিয়ে এ টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছে। তাই তাদেরকে খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। এছাড়া বন্দর স্টেডিয়ামে কিরগিজস্তানের এফসি আলগা, দক্ষিণ কোরিয়ার পোচেয়ন সিটিজেন ক্লাব, আফগানিস্তানের শাহিন আসমায়ে, মালদ্বীপ টিসি স্পোর্টস ক্লাব অনুশীলন করেছে। দলের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে এদেশে এসেছে উল্লেখ করে বলেন, আমরা ভালো খেলা উপহার দিব। আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে প্রথম পর্যায়ে তিনটি ম্যাচ ভালো খেলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা।
এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জন্য নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের অবস্থান করা হোটেলেও পুলিশ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা থাকবে। এছাড়া অনুশীলনের জন্য মাঠে আসা-যাওয়া, সবমিলিয়ে ম্যাচের সময় পর্যন্ত তাদের ভিআইপি মর্যাদায় নিরাপত্তা দেয়া হবে। সবমিলিয়ে ৮০০ সদস্য পোশাক ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা থাকবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।