বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নড়াইল জেলা সংবাদদাতা : প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাহিদাপত্র দিয়ে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শ্রেণির বই উত্তোলন করে গোডাউনে মজুদ রাখায় দুদক অভিযান চালিয়ে তিনরুম ভর্তি বইয়ের সন্ধান পেয়েছে। রোববার দুপুরে দুদকের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ড. মো: আবুল হাসান লোহাগড়া শিক্ষা অফিসের গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন উপজেলায় সরকারি বিনামূল্যের বই সঙ্কট থাকলেও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ বই মজুদ রয়েছে। দুদক লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে তিনরুম ভর্তি ওইসব বই দেখতে পান। এ সময় তিনি গোডাউন ভর্তি ২০১৭ সালের নতুন ও ২০১৬ সালের পুরাতন বই জব্দ করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুর রহমানকে কৈফিয়ত তলব করেন। দুদক পরিচালক এক সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত বই মজুদ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। গত ১ জানুয়ারি সারা দেশে সকল শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার সরকারি নির্দেশ থাকলেও লোহাগড়া উপজেলায় প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত চাহিদাপত্র দিয়ে বই আনায় অন্য এলাকায় বইয়ের কৃত্রিম সঙ্কট হয় বলে শিক্ষকরা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুর রহমানের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লোহাগড়া উপজেলায় কর্মরত থেকে শিক্ষক নিয়োগ, নিষিদ্ধ নোট বই, বিভিন্ন ধরনের গ্রামার ও সহায়ক বই বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে এভাবে বই মজুত করে কেজি দরে বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুর রহমান জানান,উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও সকল বই বিতরণ করা হয়নি, যে কারণে গুদামে বই রয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সেলিম রেজা বলেন, দুদকের অভিযানের বিষয়টি আমি শুনেছি। বই মজুদের বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে দুদকের পরিচালক মহোদয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।