নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : মরহুম মোনেম মুন্না, বাংলাদেশ ফুটবলের অন্যতম সেরা এক ফুটবলারের নাম। যার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম ট্রফি জিতেছিল লাল-সবুজরা। যিনি কিংব্যাক খ্যাত ছিলেন। সেই ফুটবলারের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। মুন্নার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরস্থ মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদ শোক র্যালি ও কবর জিয়ারত এবং বাদ এশা মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। একই দিনে নারায়ণগঞ্জ সোনালী অতীত ক্লাব মুন্নার আত্মার শান্তির জন্য বাদ আসর দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও কাঙালী ভোজের আয়োজন করেছে।
মোনেম মুন্না মারা গেছেন এক যুগ আগে (২০০৫ সালের ১২ জানুয়ারী)। শুরুতে একটু সমবেদনা জানালেও এখন আর কেউই তার পরিবারের খোঁজ-খবর রাখে না। শুধু তাই নয়, এই ফুটবলারের মৃত্যুর দিনে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও তাকে মনে করে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তার প্রাণপ্রিয় ক্লাব ঢাকা আবাহনীও যেন ভুলে গেছে মুন্নাকে। তারাও কিংব্যাকের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন কোন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় না। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, একযুগেই সবাই ভুলে গেছেন দেশের ফুটবলের উজ্জ্বল এই নক্ষত্রকে।
১৯৮১ সালে পাইওনিয়ার লিগ দিয়ে নিজ ক্যারিয়ার শুরু করেন মোনেম মুন্না। ১৯৮৪ সালে পেশাদার ফুটবলে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে আলো ছড়ান তিনি। প্রথম দুই মৌসুম মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে এবং পরের এক মৌসুম ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের হয়ে ঢাকার মাঠ কাঁপান কিংব্যাক। ১৯৮৭ সালে মুন্নার ঠিকানা হয় ঢাকা আবাহনীতে। এ ক্লাবেই নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন সুনামের সঙ্গে। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আবাহনীর সঙ্গেই জড়িয়ে ছিলেন তিনি। দেশের ফুটবলে মুন্নার জনপ্রিয়তা এতোটাই ছিলো যে, ঘরোয়া আসরে এক মৌসুমে তার চেয়ে বেশী টাকা পারিশ্রমিক অন্য কোন ফুটবলার পাননি। ১৯৯১ মৌসুমে মুন্না আবাহনীতে খেলেছিলেন সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পারিশ্রমিকে। এ অংক দীর্ঘ দিন পর্যন্ত শুধু বাংলাদেশেই নয়, উপমহাদেশেও অনন্য এক রেকর্ড ছিল। তিনি একাধিকবার জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে প্রথমবার বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ান। এরপর দু’য়েকটি ম্যাচ বাদ দিলে টানা ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলেছেন সফল এই ডিফেন্ডার। ১৯৯০ সালে বেইজিং এশিয়ান গেমসে মোনেম মুন্না প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে ১৯৯৫ সালে মিয়ানমার থেকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতে ঘরে ফেরে বাংলাদেশ। যা দেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথম সাফল্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।