নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রায় সাড়ে তিনশ রানের লক্ষ্য। গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এত রান তাড়ার রেকর্ড ছিল না। আবদুল্লাহ শফিকের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে সেটাই করে দেখাল পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের এই জয়ে পরিসংখ্যানের পাতায় পড়ল আঁচড়। গড়া হলো বেশ কয়েকটি কীর্তি। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের শেষ দিন বুধবার শ্রীলঙ্কার ৩৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৪ উইকেটে জেতে পাকিস্তান। শফিক খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৬০ রানের ইনিংস। চতুর্থ ইনিংসে তিনি উইকেটে কাটান ৫২৪ মিনিট, সফল রান তাড়ায় যা রেকর্ড।
৩৪২
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে পাকিস্তান। তাদের টেস্ট ইতিহাসে রান তাড়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় এটি। ২০১৫ সালে পাল্লেকেলেতে লঙ্কানদেরই হারিয়েছিল তারা ৩৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সব দল মিলিয়েও পাকিস্তানের এবারের জয়টি সফল রান তাড়ায় দ্বিতীয়। আর ওই ৩৭৭ রানই তাড়ার রেকর্ড।
১
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এর আগে তিনশ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি ছিল না। এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি নিজেদের করে নিল পাকিস্তান। ২০১৯ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬৮ রানের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কার জয় ছিল আগের রেকর্ড। আর এখানে সফরকারী দল হিসেবে সর্বোচ্চ রান তাড়ার কীর্তি ছিল ইংল্যান্ডের, ২০২১ সালে ১৬৪ রান।
৫২৪ মিনিট
পাকিস্তানের ঐতিহাসিক এই জয়ের নায়ক আবদুল্লাহ শফিক ৫২৪ মিনিট উইকেটে কাটিয়ে গড়েন রেকর্ড। সফল রান তাড়ায় এত সময় ব্যাটিং করেননি টেস্ট ইতিহাসের আর কেউ। আগের রেকর্ডটি ছিল অরবিন্দ ডি সিলভার। ১৯৯৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ১৪৩ রানের ইনিংসের পথে ৪৬০ মিনিট উইকেটে ছিলেন লঙ্কান কিংবদন্তি। পরিসংখ্যান রাখা হয়েছে এমন ম্যাচ বিবেচনায় শফিকের ৫২৪ মিনিট চতুর্থ ইনিংসে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
৪০৮
এই ইনিংসের পথে ৪০৮ বল খেলেন আবদুল্লাহ শফিক। পরিসংখ্যান রাখা হয়েছে এমন ম্যাচের হিসেবে, টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে চারশর বেশি বল খেলা পঞ্চম ব্যাটসম্যান তিনি। আর সফল রান তাড়ার ক্ষেত্রে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হার্বার্ট সাটক্লিফ ১৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে খেলেছিলেন ৪৬২ বলে।
৩
এশিয়ায় সফল রান তাড়ায় আবদুল্লাহ শফিকের ১৬০ রানের ইনিংস তৃতীয় সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে অপরাজিত ২১০ রান করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মেয়ার্স। আর ২০১৫ সালে পাল্লেকেলে টেস্টে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান ইউনিস খান।
২
টেস্টে সফল রান তাড়ায় ওপেনারদের মধ্যে আবদুল্লাহ শফিকের ১৬০ রানের চেয়ে বড় ইনিংস আছে আর কেবল দুটি। ১৯৮৪ সালে লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ২১৪ রান করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই অস্ট্রেলিয়ার আর্থার মরিস খেলেছিলেন ১৮২ রানের ইনিংস, ১৯৪৮ সালে।
৭২০
ক্যারিয়ারের প্রথম ৬ টেস্টে ৭২০ রান করে ফেলেছেন আবদুল্লাহ শফিক। প্রথম ৬ টেস্টে তার চেয়ে বেশি রান করতে পেরেছিলেন কেবল তিন জন-ভারতের সুনিল গাভাস্কার (৯১২), অস্ট্রেলিয়ার স্যার ডন ব্র্যাডম্যান (৮৬২) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জর্জ হেডলি (৭৩০)।
২১ উইকেট
প্রথম দুই টেস্টেই বল হাতে বাজিমাত করলেন শ্রীলঙ্কার প্রবাথ জয়াসুরিয়া। নিলেন ২১ উইকেট। অভিষেকে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে রেকর্ড গড়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে এবার নিলেন ৯টি। ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টে তার চেয়ে বেশি উইকেট নিতে পেরেছিলেন কেবল দুইজন। ভারতের লেগ স্পিনার নরেন্দ্র হিরওয়ানির শিকার ছিল ২৪ উইকেট, ইংলিশ পেসার অ্যালেক বেডসার নিয়েছিলেন ২২টি। জয়াসুরিয়ার সমান ২১ উইকেট পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বব ম্যাসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।