বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কলাপাড়া উপজেলা সংবাদদাতা : শীতের শেষ পার্যায়ে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতে আকস্মিক দেশী বিদেশী পর্যটকদের ঢল নেমেছে। কোথাও তিল ধারনের ঠাঁই নাই। নানা বয়সি পর্যটকদের আগমনে রাখাইন মার্কেট, ঝিনুকের দোকান, খাবারঘর, চটপটির দোকানসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কেনাকাটার ধুম পরেছে। দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসা ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের উম্মাদনায় পুরো সৈকত জুড়ে আনন্দময় পরিবেশ বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ওখানকার হোটেল মোটেলগুলো বুকিং রয়েছে। সৈকত লাঘোয়া নারিকেল বাগান, ইকোপার্ক, ইলিশপার্ক, জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার, সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চল খ্যাত ফাতরার বনাঞ্চল, ফকির হাট, গঙ্গামতি, কাউয়ার চর, লেম্বুর চর, শুটকি পল্লী ও কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টে শিশু কিশোর যুবক যুবতীসহ নানা বয়সী পর্যটকদের পদচারনায় এখন মুখরিত। এদিকে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের পাশাপাশি মহিপুর থানা পুলিশের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল রয়েছে।
ঢাকা থেকে ভ্রমণে আসা শিক্ষার্থী বাহউদ্দিন জানান, বন্ধুদের নিয়ে আমরা এখানে এসেছি। কুয়াকাটার সৈকতের অপরূপ দৃশ্য দেখে অসাধারন লেগেছে। অপর এক শিক্ষার্থী জান্নাতুর আয়েশা জানান, লোখাপাড়ার চাপে এখান কোথাও বেড়াতে যাওয়াটা অসম্ভব হয়েছে। একটু সুযোগ করে আব্বু আম্মুর সাথে এখানে এসেছি।
কুয়াকাটা বীচ ট্যুরিজম সেন্টারের পরিচালক অনোয়ার হোসেন আনু জানান, পর্যটন মৌসুমে এখানে প্রচুর সংখ্যক পর্যটক আসেলও শীতের শেষে রেকর্ড সংখ্যক আগমন ঘটেছে। তাবে বেশির ভাগ পর্যটক ছিলো শিক্ষা সফরে আসা। এ ধারা মার্চ মাস পর্যন্ত এ অবস্থা থাকবে বলে তিনি জানিয়েছে।
কুয়াকাটা সড়ক পথের মহিপুর আলীপুর নদীর উপর শেখ রাসেল সেতুর টেল কাউন্টারে পরিচালক মো. আশ্রাফুজ্জামান বাবু জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত আড়াই’শ পর্যটকবাহী পরিবহন এ সেতুটি পার হয়ে কুয়াকাটা গেছে। এছাড়া মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ছোট খাটো পরিরহ পার হয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরিফ জানান, এখনো আগাম বুকিং রয়েছে। অনেক পর্যটকরা রুমের জন্য যোগাযোগ করছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মীর ফসিউর রহমান জানান, পর্যটকদের ব্যাপক চাপ রায়েছে। নিরাপত্তা দিতে আমাদের পুলিশ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটে টহল রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।