Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেপ্টেম্বরেই ফ্লাডলাইট পাচ্ছে হকি স্টেডিয়াম

| প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : অবশেষে ঢাকায় এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে সব শঙ্কা দূর হচ্ছে। বৃহৎ এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ফ্লাডলাইট পাচ্ছে মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়াম। আর এখানে ফ্লাডলাইট স্থাপন হলেই এশিয়া কাপ আয়োজনে আর কোন বাঁধা থাকবে না বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের। শেষবার ১৯৮৫ সালে ঢাকায় বসেছিল এশিয়া কাপ হকির দ্বিতীয় আসর। ৩২ বছর পর আবার এ টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হওয়ায় সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সামনে। তবে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের চাহিদা মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট স্থাপন করতে হবে। এটা করতে পারলেই এশিয়া কাপের আয়োজক হতে পারবে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা সময় মতোই তারা ফ্লাডলাইট স্থাপন করতে পারবেন। পূর্ব নির্ধারিত দিনক্ষণ অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এশিয়া কাপ হকির নবম আসরের খেলা। এ আসর আয়োজনের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। এমনটাই জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক। এশিয়ান হকি ফেডারেশনের চাহিদা অচিরেই পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সাদেক বলেন, ‘মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট বসানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেলেও পরিকল্পনা মন্ত্রাণালয়ের ছাড়পত্র এখনও পায়নি। তবে খুব শীঘ্রই তা পেয়ে যাবো। পরিকল্পনা মন্ত্রাণালয়ের ছাড়পত্র পেলেই ফ্লাডলাইটের দরপত্র আহবান করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে হকি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট স্থাপনের কাজ শেষ হবে। এ প্রসঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘সকল জটিলতার অবসান হয়েছে। শুধুমাত্র পরিকল্পনা মন্ত্রাণলয় একটি সভা করেই আমাদের একটি ছাড়পত্র দেবে। ছাড়পত্রটি হাতে পেলেই আমরা দরপত্র আহবান করে ফ্লাডলাইট ও স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজে হাত দেবো। আশা করছি দ্রæতই কাজ শেষ হবে।’
এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত দশম এশিয়া কাপ হকির খেলা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ফলে ঘরের মাঠেই জিমিরা এশিয়ার সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে লড়াই করার সুযোগ পাবেন।
১৯৮২ সালে পাকিস্তানের করাচি থেকে যাত্রা শুরু হয় এশিয়া কাপের। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর ১৯৮৫ সালে ঢাকায় বসলেও সর্বশেষ সাত আসরের চারটিই বসেছে মালয়েশিয়ায়। দু’বার হয়েছে ভারতে (নয়াদিল্লি ও চেন্নাই) এবং একবার জাপানের হিরোশিমায়। আগের নয় আসরের পাঁচটিতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ায় শেষ হওয়া গত আসরে আট দলের মধ্যে অষ্টমস্থান পেয়েছিলে লাল-সবুজরা
দশম এশিয়া কাপে অংশ নেয়া দেশগুলো হলো- দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, জাপান, চীন, ওমান ও স্বাগতিক বাংলাদেশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেপ্টেম্বর


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ