Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

’৩০ সালের আগেই অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে চীন

| প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ভারত দ্বিতীয় এবং ইন্দোনেশিয়া তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসতে পারে : গবেষণা রিপোর্ট
ইনকিলাব ডেস্ক : দ্রুত বর্ধনশীল চীনা অর্থনীতি নিয়ে নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে চমকে যাওয়ার মতো উচ্চাশা প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আগামী দিনগুলোতে চীনই হতে যাচ্ছে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতির দেশ। এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নামতে নামতে চলে যাবে চতুর্থ নম্বরে। প্রধানত চীন এবং ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোর দ্রুত প্রবৃদ্ধির কারণে তারা একসময় যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বিশ্বের এই অর্থনৈতিক পরিবর্তন গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য ইতিবাচক প্রভাব বয়ে আনবে।
রিপোর্ট বলছে, ২০৩০ সালের আগেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশের খ্যাতি মার্কিনিদের কাছ থেকে কেড়ে নেবে চীন। শুধু তাই নয়, ২০৫০ সাল নাগাদ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে ভারতও। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক গবেষণা সংস্থা প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপারসের এক গবেষণায় এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মার্কিন ম্যাগাজিন ফরচুনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রাইসওয়াটারহাউস কুপারসের গবেষণায় অর্থনীতিতে ২০৫০ সাল নাগাদ শীর্ষ তিন দেশের নাম বলা হয়েছে চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে ওই সময় উঠে আসতে পারে ইন্দোনেশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি তিনটি দেশই এখন জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ তিনটি দেশ। গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। জনসংখ্যাই উৎপাদনশীলতার মূলে রয়েছে বলে ২০৫০ সাল নাগাদ ওই চিত্র দাঁড়াতে পারে।
এখন পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে শীর্ষে মার্কিনিদের অবস্থানের কারণ হলো চীন বা ভারতের শ্রমিক ও মূলধনের উৎপাদনশীলতার তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনশীলতা অনেক বেশি। কিন্তু ধীরে ধীরে এসব দেশও উৎপাদনশীলতায় এগিয়ে আসছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শতকের বিভিন্ন সময়ে চীনের অর্থনীতিতে উত্থান-পতন ছিল। তবে ওই সময়জুড়ে মার্কিনিরা চীনের অর্থনীতিকে উদারবাদের দিকে উৎসাহ দিয়ে গেছে। চীনের বাজার সংস্কারের কারণে প্রায় ৮০ কোটি মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ভারতের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ভারতকেও মুক্ত বাজার অর্থনীতির দিকে আসতে উৎসাহ জুগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে করে ভারতেও কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি পেয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। চীন বা ভারতের অর্থনীতেতে যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি একমাত্র বা মুখ্য ভূমিকা পালন করেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব অস্বীকার করার মতোও নয়। এর ফলে এসব দেশের জাতীয় উৎপাদনশীলতা বেড়েছে এবং এর ফলে এসব দেশের জিডিপি বেড়েছে। গোটা বিশ্বেও দারিদ্র্য অনেকটাই কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন ও ভারতের মতো দেশগুলোর এভাবে এগিয়ে যাওয়ার কারণেই এখন অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থান থেকে সরে আসার সময় এগিয়ে আসছে। আগে বা পরে, তাদের শেষ পর্যন্ত কমপক্ষে তিন নম্বরে নেমেই আসতে হবে। মার্কিনিরা এ চিত্র মেনে নিতে না পারলেও চূড়ান্ত বিচারে গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এই চিত্র ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ফরচুন, ওয়েবসাইট।



 

Show all comments
  • মাহবুব ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:৫৯ এএম says : 0
    বৈশ্বিক রাজনীতিতে কিছুটা পরিবর্তন আশা দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • Kasem ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১:৫১ পিএম says : 0
    bartoman obostha dekhe to serokom e mone hosse
    Total Reply(0) Reply
  • Sofiq ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ২:০১ পিএম says : 0
    amar mone hosse India second position e jete parbe na.
    Total Reply(0) Reply
  • Jesmin ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ২:০৩ পিএম says : 0
    আমার মতে ১. চীন, ২. ইন্দোনেশিয়া, ৩. যুক্তরাষ্ট্র, ৪. ভারত
    Total Reply(0) Reply
  • Firoz khan ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ২:০৪ পিএম says : 0
    we are waiting to see that
    Total Reply(0) Reply
  • নিরাজ ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ২:০৫ পিএম says : 0
    আর কতকাল আমেরিকার একক অাতিপত্য থাকবে ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ