Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শীতকালীন সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে

| প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার: রাজধানীর সবজি বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি প্রচুর সরবরাহ থাকার পরও গত কয়েক সপ্তাহ আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। শীতের শেষ সময় বলে দাম বেশি বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর ভোক্তাদের দাবি, সিন্ডিকেটের কারণেই কমছে না সবজির দাম। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। প্রায় সব পণ্যের সরবরাহ বাড়লেও কমেনি দাম।
সবজি ব্যবসায়ী আলী বলেন, এখন শীতের শেষ সময়; মাঠ পর্যায়ে উৎপাদন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে; ফলে বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমতে শুরু করেছে। তাই সবজির দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে পণ্যের দাম উঠবে-নামবে এটাই স্বাভাবিক। তবে অযৌক্তিক দাম বাড়ানো মেনে নেওয়া যায় না। এর জন্য মূলত সিন্ডিকেটই দায়ী।
পলাশী বাজারে সবজি কিনতে হাজির হওয়া খায়রুল ইসলাম বলেন, শীতের মাঝামাঝি সময়ে সবজির দাম কিছুটা কমেছিল। এখন আবার দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, উৎপাদন পর্যায়ের কৃষকরা ১ টাকা বাড়ালে পাইকারি পর্যায়ে ৫ টাকা ও খুচরা বিক্রেতারা বাড়ায় ১০ টাকা। সুতরাং অস্বাভাবিকহারে এই মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে বাজার মনিটরিং অত্যন্ত জরুরি।
তবে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দর বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কালো বেগুন ৬০ টাকা; সাদা বেগুন ৬০ টাকা; শিম ৪০-৫০ টাকা; টেমেটো (ইন্ডিয়ান এলসি) ৫০ টাকা; শশা ৪০-৪৫ টাকা; গাজর ৪০ টাকা; পেঁয়াজের কালি ২৫ টাকা; চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা; কচুর লতি ৬০ টাকা; মূলা ৩০ টাকা কেজি এবং শালগম ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পটল ৯০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা, কচুরমুখি ৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা এবং পেঁপে ১৫ টাকা থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিটি ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা; লেবু হালি প্রতি ১৫-২৫ টাকা; আঁটি প্রতি পালং শাক ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদি পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দামে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। গত সপ্তাহের প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০ থেকে ১০৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ৫ লিটারের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজি প্রতি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। ভারতীয় মসুর ডাল ১১৫ টাকা; মুগ ডাল (দেশি) ১২০ টাকা; ভারতীয় মুগ ডাল ১১০ টাকা; মাষকলাই ১৩৫ টাকা এবং ছোলা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মানভেদে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২৫ টাকা; ভারতীয় পেঁয়াজ ২৩ টাকা; দেশি রসুন ১১৫ টাকা; ভারতীয় রসুন ২১০ টাকা এবং চীনা রসুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ১৫০ টাকা; চীনের আদা ৮০ টাকা; ক্যারালা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম অপরিবর্তিতই রয়েছে। স্বর্ণা চাল ৪০ টাকা; পারিজা চাল ৪০-৪১ টাকা; মিনিকেট ভালো ৫০-৫৩ টাকা; মিনিকেট নরমাল ৪৮ টাকা; বিআর আটাশ চাল ৪২-৪৪ টাকা; নাজিরশাইল চাল ৪২-৪৮ টাকা; বাসমতি চাল ৫৬ টাকা; কাটারিভোগ চাল ৭৪-৭৬ টাকা; হাস্কি নাজির চাল ৪০ টাকা এবং পোলাও চাল ১০০ (পুরাতন), নতুন ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা; লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ টাকা; দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা; পাকিস্তানি লাল মুরগি কেজি প্রতি ২৫০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর গোশত ৪৮০ টাকা এবং খাসির গোশত ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা; সরপুঁটি ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা; কাতলা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা; তেলাপিয়া ১৪০ টাকা ১৮০ টাকা; সিলভার কার্প ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা; চাষের কৈ ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা; টেংরা ৬০০ টাকা; মাগুর ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়; ইলিশ কেজি প্রতি (মাঝারি) ১৪০০ টাকা এবং দেড়কেজি ওজনের প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শীতকালীন

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৭ ডিসেম্বর, ২০২১
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ