পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শীতকালীন প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে সারাদেশে স্ব-স্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন হয়েছে সেনাসদরসহ সেনাবাহিনীর সকল ফরমেশন। করোনা মহামারির কারণে অপারেশন কোভিড শিল্ড এ মোতায়েন হবার জন্য গত বছর এই প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এবার সেনাবাহিনীর প্রায় শতভাগ সেনাসদস্যের অংশগ্রহণে গত ১৯ ডিসেম্বর হতে ৪ সপ্তাহের জন্য নতুন উদ্যমে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এবারের শীতকালীন প্রশিক্ষণে সেনাবাহিনী সদর দপ্তর বহিরঙ্গনে এসে পূর্ণাঙ্গরূপে অনুশীলন করছে। প্রথমবারের মতো এবার যুদ্ধক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লজিস্টিক্স এর উপর ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ (এফটিএক্স) পরিচালনা করা হচ্ছে। গতকাল আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, এর অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণে সড়কপথের পাশাপাশি আকাশপথ, নদীপথ এবং রেলপথে সফলভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে রসদ সম্ভার পরিবহন করা হচ্ছে। এছাড়াও, সেনাবাহিনীর নিজস্ব সক্ষমতায় সকল ফরমেশনের মধ্যে ওয়্যারলেস, ভিস্যাট ও ইন্টারনেট কমিউনিকেশন স্থাপন করা হয়েছে। ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে সেনাবাহিনীতে নতুন সংযোজিত অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদির কৌশলগত ব্যবহারও এবারের শীতকালীন প্রশিক্ষণে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এসব কারণে এবারের শীতকালীন প্রশিক্ষণ অনেক বেশী অভিনব ও বাস্তবধর্মী। দেশের সেবায় নিজেদের প্রস্তুত করে তুলতে সরেজমিনে বাস্তবধর্মী বিভিন্ন সামরিক বিষয়াদি অনুশীলনের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন সাধন করাই মাসব্যাপী পরিচালিত এই অনুশীলনের মূল লক্ষ্য ।
এবারের অনুশীলনে সেনাবাহিনী প্রধান, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারবৃন্দ, জিওসি আর্মি ট্রেনিং এ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, কমান্ড্যান্ট ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিভিন্ন ফরমেশনে অনুশীলন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং তাৎক্ষণিক দিকনির্দেশনা প্রদান করছেন।
কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে সেনাবাহিনী সার্বিকভাবে একটি বিশ্বমানের বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে বলে সেনাবাহিনী প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও শীতকালীন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ফরমেশনসমূহ স্ব-স্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অসহায় ও দুস্থ শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র ও ত্রাণ বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ঔষধ বিতরণসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করছে।
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় গবাদিপশুর বিনামূল্যে চিকিৎসা, পরামর্শ প্রদান ও ঔষধ বিতরণ করা হচ্ছে। শীতকালীন প্রশিক্ষণ শেষে আগামী ১৪ জানুয়ারি সেনানিবাসে প্রত্যাবর্তন করবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।-আইএসপিআর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।