পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় শীতকালীন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৮১ জন। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত এই রোগী ভর্তি হয়েছেন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার এ তথ্য জানান। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৮৮৮ জন, ডায়রিয়া (রোটা ভাইরাস) আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৯৩২ জন ও অন্যান্য শীতজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৬৬১ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে এক হাজার ৩৭৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৫৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৮৭ জন, রংপুর বিভাগে ২৯৪ জন, খুলনা বিভাগে এক হাজার ৬৮৪ জন, বরিশাল বিভাগে ২২৮ জন, সিলেট বিভাগে ১৩৫ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শীতের প্রকোপ বাড়ায় বেশি বিপাকে শিশুরা। হাসপাতালেও শিশুদের ভর্তি বেশি। রাজধানীর আইসিডিডিআরবিতে (ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ) প্রতি ঘণ্টায় ২৫ থেকে ৩০ জন শিশু চিকিৎসা নিতে আসছে। আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
শীততালীন বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচতে করণীয় সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালের সাবেক প্রফেসর ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, শীতজনিত কারণে শিশু ও বয়স্কদের নানা রকম স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি দেখা দেয়। এই সময়টা যাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা আছে তাদের জন্যও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই শীতের সময় তাদের আলাদা যতœ নিতে হবে। যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে গরম কাপড় পরিধান করা, ঠান্ডা পানির পরিবর্তে গরম পানি ব্যবহার ও গরম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা। এই সময়টাতে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বয়স্ক ও শিশুদের ঘর থেকে বের না হওয়াই ভালো। তিনি বলেন, মৌসুম পরিবর্তনের কারণে ভাইরাসজনিত রোগ জ্বর, সর্দি ও কাশিও হয়ে থাকে এই সময়ে। আর এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ভালো। কারণ এইসব রোগের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক অনেক সময়েই কার্যকর হয় না।
চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে শীতকালীন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ৭০ হাজার ৮৩ জন। এর মধ্যে শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪৩ হাজার ৫০০ জন, ডায়রিয়া (রোটা ভাইরাস) আক্রান্ত হয়ে এক লাখ এক হাজার ৭৪৮ জন ও অন্যান্য শীতজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ১৭ হাজার ৮৩৫ জন।
সারাদেশে এই সময়ে শীতকালীন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মারা গেছেন ৫০ জন। সবচাইতে বেশি ২২ জন রোগী মারা গেছেন চট্টগ্রাম বিভাগে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।