বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা : নিউজিল্যান্ড সফরে চার চারজন ক্রিকেটারের ইনজুরি বড় ধরনের দূর্ভাবনায় ফেলে দিয়েছে বিসিবি’র চিকিৎসকদের। আর মাত্র ৪ দিন পর বাংলাদেশ দল ধরবে হায়দারাবাদের ফ্লাইট। মুমিনুল, মুস্তাফিজুরের ইনজুরি দূর্ভাবনার কারণ না হলেও ইমরুল কায়েসের ইনজুরিটা ভাবাচ্ছে বিসিবি’র চিকিৎসকদের। হাতের আঙুলের ব্যথা থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠলেও মুশফিকুর গতকাল থেকে শুরু করেছেন ব্যাটিং অনুশীলন। মানসিক শক্তির কারণেই মুশফিকুরকে নিয়ে তেমন বিচলিত নন বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসক। কাঁধের টেলিস্কোপ সার্জারির পর ফিট হয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে ২টি ওয়ানডে এবং ২টি টি-২০ ম্যাচ খেলে কোমরের ব্যাথা অনুভব করায় কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুরকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।
ভারত সফরের চূড়ান্ত দল ঘোষণার আগে আগামী ৩১ জানুয়ারি ক্রিকেটারদের পড়তে হচ্ছে ফিটনেস টেস্টের সামনে। সেই পরীক্ষায় মুশফিকুরকে নিয়ে উদ্বিগ্ন নন বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশিষ চৌধুরী ‘নিউজিল্যান্ডে মুশফিকের চোট পাওয়া ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে স্ক্যান করানো হয়েছে। সেখানে কোনো চিড় ধরা পড়েনি। তাই তার চোট নিয়ে আমরা খুব একটা চিন্তিত নই। এখানে আসার পর ওর কিছু ফিজিওথেরাপি শুরু করেছি। তার উন্নতি খুবই সন্তোষজনক। আজ (গতকাল) প্রথম ও ব্যাট হাতে নিয়েছে। এই অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে আশা করছি ৩১ তারিখের পর খেলায় ফিরতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
তবে আঙুলে ব্যথা নিয়ে খেলতে নামতে চোট স্থলে সার্বক্ষণিক নিরাপদ রাখতে হবে মুশফিকুরকে। এটাই ভাবাচ্ছে বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসককে ‘যতুটুকু না প্রটেকশন আঙুলে দিচ্ছি তার চেয়ে বেশি প্রটেকশন দরকার মানসিকতায়। ১০০ মাইল বেগের একটা বল যদি এসে লাগে, তাহলে কোনো নিরাপত্তায় কাজ হবে না। মুশফিকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। ও বলেছে, একটা সাপোর্ট যদি থাকে তাহলে আমি আমার আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পাই। ব্যথা থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্য ওকে সময় দিতে হবে। উইকেট কিপিং করতে গেলে প্রতিটি বল ধরতে হবে। লম্বা সময় বিশ্রামও নিতে পারছে না বলে উইকেট রক্ষককে আঙুলের চোট নিয়েই খেলতে হতে পারে। খেলার আগের দিন তার ব্যাপারে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে ওর যে মানসিক দৃঢ়তা, তাতে মনে হচ্ছে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলে ফেলতে পারে সে।’
মুশফিকুরকে নিয়ে আশাবাদি হলেও ইমরুল কায়েসের ব্যাপারে সতর্ক বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসক ‘ইমরুল কায়েসের চোটের জায়গায় এখানে স্ক্যান করানো হয়েছে। ওর এমআরআই রিপোর্টে গ্রেডওয়ান চিড় ধরা পড়ে। ওর উন্নতির অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আশা করছি ১ তারিখ থেকে ওকে খেলায় ফিরিয়ে আনতে পারবো। তবে যেহেতু ওর চোট মাংসপেশীতে, পুরোপুরি সুস্থ না হয়ে ফিরলে আবারো চোট পাওয়ার শঙ্কা থাকবে। তাই ওর ব্যাপারটি সতর্কতার সাথে দেখতে হবে। ৩১ তারিখ আমাদের টেস্টিং সেশন আছে। তখন আমরা বুঝতে পারবো ওদের শারীরিক অবস্থা কি রকম। ইমরুলের ব্যাপারটা আরেকটু চিন্তা করতে হবে। পুরোপুরি সেরে না উঠে খেলায় ফেরানোর ঝুঁকি নিতে চাই না। টেস্ট শুরু হতে হতে ওর সেরে উঠার কথা। ওর সেরে উঠার প্রক্রিয়ায়কে ব্যাঘাত করা হয়, তাহলে ফেরার প্রক্রিয়া দেরি হয়ে যাবে। পুর্নবাসনের মধ্যে তাকে রাখা হবে, না প্রস্তুতি ম্যাচে খেলানো হবে, এই সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজমেন্টকে নিতে হবে। ও নিজেও চোট থেকে ফেরার পর প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে চাইতে পারে। এবার যদি একই জায়গায় চোট পায় তাহলে দেড় থেকে দুই মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে। তাহলে শ্রীলঙ্কা সফরও মিস করবে।’
ওয়েলিংটন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড বোলারদের বাউন্সার ডেলিভারিতে পাঁজরে যে চোট পেয়েছেন মুমিনুল, সেখানে কোন চিড় না ধরায় মুমিনুলের খেলা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কারন খুঁজে পাচ্ছেন না ডা. দেবাশিষ। তবে মুস্তাফিজুরের চোট নিয়ে নয়, বরং ওর মনোবলই ভাবাচ্ছে বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসককে ‘কাঁধে যেখানে অপারেশন হয়েছে, তা নিয়ে কোনো অভিযোগ করছে না মুস্তাফিজ। ও বলছে সমস্যা তার পিঠে। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে চোটের যে আপডেট পেয়ে থাকি, সেখানে মুস্তাফিজের নাম নেই। তাই ধরে নিচ্ছি, এই মুহূর্তে চোট নিয়ে ওর কেমন কোনো সমস্যা নেই। ও কাঁধে যে চোট পেয়েছিল তা কিন্তু বোলিংয়ের কারণে নয়। ওটা ডাইভিং চোট। যতক্ষণ না ও ডাইভ দিচ্ছে, ততোক্ষণ কাঁধে অস্ত্রোপচারের জায়গায় ওকে নিয়ে কোন ভয় নেই। পাঁজরের সমস্যা পেসাদের খুব স্বাভাবিক।’ তবে মুস্তাফিজুরের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে মনোবিদের শরনাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছেন না তিনি ‘আমার মনে হয় না, মনোবিদ তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান দিতে পারবে। একটা সার্জারি থেকে বের হয়ে আসার পর একজনের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব কাজ করতেই পারে, এটা খুবই স্বাভাবিক। খেলার সঙ্গে সঙ্গে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নতি হবে। আমর চাচ্ছি, আন্তর্জাতিক খেলায় ফিরে আসার আগে ওকে বেশি সময় দিতে।’
তবে মানসিক শক্তিতে বার বার ইনজুরি থেকে ফিরে ক্রিকেট খেলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় শ্রীলংকা সফরের আগেই মাশরাফি পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদি বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসক ‘হাতের চিড় থেকে সেরে উঠতে সাধারণত ৫ থেকে ৬ সপ্তাহের মতো সময় লাগে। সেই সময়টা ওকে দিতেই হবে। এই সময়ে হাত বন্ধ থাকবে, হাত ব্যবহার করতে পারবে না। সেই সময়টা শেষ হবে ফেব্রæয়ারির শেষ দিকে গিয়ে। এরপর মাশরাফির পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করবো। আশা করি, শ্রীলঙ্কা সফরের আগেই ওকে খেলায় ফিরিয়ে আনতে পারবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।