গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : নির্দেশনা উপেক্ষা করে যেসব হকার রাজধানীর গুলিস্তান ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসেছে তাদের উচ্ছেদ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তান ও এর আশেপাশের এলাকার ফুটপাতের দোকান ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আবারও অভিযান পরিচালনা করা হয়। এদিকে ডিএসসিসির উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন হকাররা।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন সরদার। এ সময় ডিএসসিসির কর্মকর্তারা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন সরদার বলেন, ডিএসসিসির নির্দেশনা উপেক্ষা করে গুলিস্তানসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার ফুটপাতে যেসব হকার দোকান নিয়ে বসেছিলেন তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। গুলিস্তান ঘুরে দেখা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে কিছু সংখ্যক হকার ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিএসসিসি উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এ সময় হকাররা সরে গেলে তাদের রেখে যাওয়া চৌকি, বাক্সসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
এদিকে গুলিস্তানে উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন হকাররা। তারা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের দাবি জানান।
গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজার এলাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান শুভ বলেন, ছয় বছর ধরে আমরা এ জায়গায় ব্যবসা করছি। পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ চলবে না। নির্দেশনা যতই দেওয়া হোক আমরা এখানে বসব। কারণ আমাদের সংসার আছে, বাচ্চাদের পড়াতে হয়। ফুটপাতে যা আয় হয় তা দিয়ে পাঁচজনের সংসার চলে।
তিনি জানান, মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ফুটপাতে বসেছি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১০০ টাকা বিক্রি করতে পারি নাই। বিক্রি করতে না পারলে কীভাবে চলবে সংসার?
হকারদের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে গত ১১ জানুয়ারি নগর ভবনের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও হকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ১৫ জানুয়ারি থেকে কর্মদিবসে গুলিস্তান, মতিঝিল ও এর আশপাশ এলাকার ফুটপাতে দিনের বেলা কোনো হকার বসতে পারবে না। তবে অফিস টাইমের পর সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে তারা গুলিস্তান-মতিঝিল এলাকায় বসতে পারবে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার হকারদের পুনর্বাসন, বাজেটের অন্তর্ভুক্তিকরণ, পরিচয়পত্র দেয়া ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হকাররা। বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর পল্টন মোড় সংলগ্ন সড়কের বায়তুল মোকাররমের উল্টো পাশের ফুটপাত প্রদক্ষিণ করেন তারা। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে হকাররা বলেন, অনেক আগে থেকেই আমরা নিপীড়নের শিকার। শেষবার আমাদের সিটি কর্পোরেশন যে শর্ত দিয়েছে তাতে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। তাই এবার ১০ দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি।
এ সময় তারা বলেন, পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ চলবে না, সংসদে হকার্স আইন প্রণয়নসহ বাংলাদেশ হকার্স সমিতির ১০ দফা দাবি অবিলম্বে বাস্তবাসয়ন করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।