পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের নাম প্রস্তাব করেনি বলে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দরকার নিরপেক্ষ, যোগ্য ও সাহসী নির্বাচন কমিশন। আর এ ধরনের কমিশন গঠনের জন্য নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি করতে হবে। সে প্রস্তাবই বিএনপি নেত্রী প্রেসিডেন্টকে দিয়েছেন বলে জানান তিনি। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত আরাফাত রহমান কোকো’র দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। সার্চ কমিটি গঠনে প্রেসিডেন্টের কাছে বিএনপি কে এম হাসানের নাম প্রস্তাব করেছে বলে যে কথা ছড়ানো হচ্ছে তা সত্য নয় বলে দাবি করেন নজরুল ইসলাম খান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে সার্চ কমিটি গঠনে কে এম হাসানের নাম প্রস্তাব করেনি বিএনপি। অথচ ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা ওই নাম প্রস্তাব করেছি। এটা সত্য নয়’। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের একটি বক্তব্যের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেনÑ ক্ষমতা হারালে জানে বাঁচবেন না। তার এই কথায় প্রমাণ হয়, আওয়ামী লীগ সীমাহীন দুর্নীতি করেছে। আওয়ামী লীগ নিজেরাই জানে তারা অন্যায় করেছে, নির্যাতন করছে, দুর্নীতি করেছে, জুলুম করেছে। আর ক্ষমতা হারালে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন ভয়ে ও অস্থিরতায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কোথায় কী কী বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। যদি আমরা কে এম হাসানের নাম প্রস্তাব করেও থাকি তাহলেও তো তাদের বিষয়টি জানার কথা নয়’।
এ বিষয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘কে এম হাসান প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের যা বললেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের কাছেও খবর আছে, তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলীর নাম প্রস্তাব করেছে। সেসব বিষয় নিয়ে তো হৈচৈ করছি না। কারণ, প্রেসিডেন্টের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আওয়ামী লীগ প্রেসিডেন্টকে বিতর্কিত করতে এসব কথা বার্তা ছড়াচ্ছে। জিয়াপুত্র আরাফাত রহমান কোকো প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘কোকো ছিলেন সাধারণ নাগরিক। রাজনীতির অঙ্গনের কেউ না হয়েও সরকারের রোষাণলে পড়েছিলেন’।
কোকোর অবদানের কথা স্মরণ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘কোকো বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে বিরাট পরিবর্তন এনে দিয়ে গেছেন। আজ দেশে ক্রিকেটের যে বিশ্বব্যাপী নাম তার প্রথম ধাপই শুরু হয়েছে প্রচারবিমুখ কোকোর হাত ধরে’। ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বীর উত্তম শহীদ জিয়া শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি কাজী মনিরুজামান মনির প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।