Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে স্থবিরতা ১০ হাজার মানুষের মানবেতর জীবনযাপন

| প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে উপজেলা সংবাদদাতা : নানা জটিলতার কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ স্থলবন্দর স্থবিরতা হয়ে পড়েছে। বেকার হতে বসেছে ১০ হাজার শ্রমিক। ২০৫ জন সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের লাখ লাখ টাকা লোকসানের খপ্পরে পড়ায় তাদের অধীনে থাকা প্রায় ৮শ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী ঠিকমত বেতন ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জানান, রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে নানা জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। নানা অজুহাতে গাড়ি ছাড় দিতে দেরী করায় আমরা সঠিক সময়ে পণ্যবাহী ট্রাক নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে না পারায় নানা ধরনের হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে। অনেক সময় পচনশীল পণ্য পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রতি গাড়ীতে আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। ফলে আমাদের অধীনে থাকা এসোসিয়েশনের প্রায় ৮শ’ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঠিকমত বেতনভাতা দিতে না পারায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনি আরও জানান, স্থলবন্দরের রাজস্ব আদায়ে অর্থ বছরে প্রথম ৬ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে প্রায় ৩৯ কোটি টাকা। তিনি ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ারের সাধারণ সম্পাদক ভূপতি মন্ডলের বরাত দিয়ে বলেন- স্থলবন্দরে বিভিন্ন অজুহাতে গাড়ি ছাড়ে নানা ধরনের হয়রানি ও বিলম্ব হওয়ায় ভারতের মহদিপুরে প্রায় ৫ হাজার ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রয়েছে। এসোসিয়েশনের বন্দর ও কাস্টমস সম্পাদক আবদুর রাকিব জানান, নিয়ম অনুসারে ফলের গাড়িতে ১০% ছাড় দেয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে সে ছাড় দিচ্ছে না। তারপরও নানা ধরণের হয়রানির কারণে ফল আমদানী দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। কিছুদিন আগে প্রতিদিন ৪০-৫০ ট্রাক আমদানী হতো ফলের গাড়ি। বর্তমানে মাত্র ৮-১০ গাড়ি ফল আমদানী হয়। তিনি জানান, গত বছর এসময় বন্দরে প্রতিনিধি ৪শ’ থেকে ৫শ’ পণ্যভর্তি গাড়ি আমদানী হতো। বর্তমানে অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে। শ্রমিক সমন্বয় কমিটির সভাপতি সাদেকুর রহমান মাস্টার জানান, বন্দরে ৩১টি সংগঠন মিলে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক রয়েছে। যা আগে প্রতিদিন দেড়শ টাকা করে আয় করতে পারতো। বর্তমানে তাদের আয় কমে মাত্র ৩০ টাকায় এসেছে। ফলে অনেক শ্রমিকের পরিবারকে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাদিপাত করতে হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্দরের কয়েকজন জানান, একটি চক্র ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বন্দরকে সম্পূর্ণ বন্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে রাজশাহী বিভাগের কাস্টমস কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে ০১৭১৬৭৫০০৫৬ নম্বরে ও সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার হাবিবুর রহমানের সাথে ০১৭১২৭৬০৬৭১ নম্বরে যোগাযোগের করার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জীবনযাপন


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ