Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০ শতাংশ হজ কোটা উন্মুক্ত করেছে সউদী সরকার

১ ফেব্রুয়ারি সউদী-বাংলাদেশ দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তি

| প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শামসুল ইসলাম : সউদী বাদশা সালমান বিদেশি হজযাত্রীর হ্রাসকৃত ২০ শতাংশ কোটা ও স্থানীয় হ্রাসকৃত ৫০ শতাংশ হজযাত্রী কোটা প্রত্যাহার করেছেন। গত সোমবার এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর (২০১৭) ওআইসির গণনা অনুযায়ী স্ব স্ব দেশের হজযাত্রীগণ পূর্বের নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী হজব্রত পালনের সুযোগ পাবেন। ২০ শতাংশ কোটা হ্রাসের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করায় এবার বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সউদী আরবে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। আগামী এক ফেব্রুয়ারি জেদ্দায় সউদী-বাংলাদেশ দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তিতে (২০১৭) সউদী হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী মোহাম্মদ সালেহ বানতান ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান স্ব স্ব দেশের পক্ষে স্বাক্ষর করবেন। উল্লেখ্য, পাঁচবছর আগে সউদী সরকার পবিত্র বায়তুল্লাহ শরীফের সম্প্রসারণের কার্যক্রম শুরু করে। গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বায়তুল্লাহ শরীফের সম্প্রসারণের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ২০ শতাংশ হজযাত্রী কোটা হ্রাসের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হওয়ায় গত বুধবার জেদ্দায় সউদী-ভারত দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তিতে ভারত সরকার চলতি বছর এক লাখ ৭০ হাজার ২৫ জন হজযাত্রীর কোটার অনুমতি লাভ করেছে। ২০ শতাংশ কোটা হ্রাস হিসেবে গত কয়েক বছর ভারত এক লাখ ৩৬ হাজার ২০ জন হজযাত্রীর কোটা পেয়ে আসছিল। সউদী হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী মোহাম্মদ সালেহ বানতান ও ভারতীয় সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভী দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তিতে স্ব স্ব দেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। ২০ শতাংশ হজযাত্রী কোটা উন্মুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজীকল্যাণ পরিষদের সভাপতি আলহাজ অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল-নাসের গতকাল এক বিবৃতিতে সউদী বাদশাহ সালমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন। গতবছর বাংলাদেশ থেকে ৩৭ হাজার হজযাত্রী  বেশি হওয়ায় যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল ২০ শতাংশ কোটা উন্মুক্ত হওয়ায় এ বছর এ সমস্যা থাকবেনা বলে আলহাজ অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নাসের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার সকল হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম এক সাথে শুরু করার জোর দাবি জানিয়েছেন।  
এদিকে, ২০১৬ সালের হজ মৌসুমে নানা অভিযোগ এবং ৭৫১ জন হাজীকে প্রাক-নিবন্ধন ছাড়াই হজে প্রেরণ সর্ম্পকে গত সপ্তাহে কয়েকশ’ হজ এজেন্সির শুনানি সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্ত ধর্ম মন্ত্রণালয়ে থেকে এসব শুনানির কোনো চূড়ান্ত রিপোর্ট অথবা সিদ্ধান্ত না দেয়ায় তারা হজের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না। এসব হজ এজেন্সি চরম হতাশায় ভুগছে। গতকাল শুক্রবার থেকে আশকোণাস্থ হাজী ক্যাম্পে বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর প্রাক-নিবন্ধন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রীর পিএস ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক হজ ড. আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব, সাবেক পরিচালক হজ এবং আইটি বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের সিইও বজলুল হক বিশ্বাস প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন। হজ এজেন্সি আল-বারাকা ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন শুনানি সম্পন্নকারী অভিযুক্ত হজ এজেন্সিগুলোকে দ্রুত ন্যায়সঙ্গত রায় দিয়ে তাদের হজ কার্যক্রমে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ