বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : বৃটিশ বিরোধী ও তে-ভাগা আন্দোলের কৃষক নেত্রী ইলা মিত্রের পৈত্রিক ভিটা অধিগ্রহণের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ঝিনাইদহের শৈলকুপার বাগুটিয়া গ্রামে তার পৈত্রিক ভিটা। গত চার জানুয়ারি সংস্কৃতিকবিষয়ক মন্ত্রণালয় পুরার্কীতি হিসেবে ওই বাড়িটি সংরক্ষণের জন্য গেজেট প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, বৃটিশ সরকারের সেসময়কার বাংলার অ্যাকাউন্টেন্ট ছিলেন জেনারেল নগেন্দ্র নাধ সেন। ঝিনাইদহের শৈলকুপার বাগুটিয়া গ্রামে ছিল তার বাড়ি। ইলা মিত্র তার মেয়ে। ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত রাজশাহীর নবাবগঞ্জ অঞ্চলে তে-ভাগা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ইলা মিত্র। কৃষক আন্দোলন সংগ্রামের সময় পুলিশের হাতে আটক হয়ে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকে। ১৯৪৬ সালের দিকে দিনাজপুরের হাজি দানেশের প্রচেষ্টায় তে-ভাগা আন্দোলন শুরু হয়। সে সময় স্বামী কমরেড রমেন্দ্র মিত্রের সঙ্গে ভারতে মালদহের নাবাবগঞ্জ থানার রামচন্দ্র হাটের শ্বশুরের জমিদার বাড়ি ছেড়ে দিনাজপুর চলে আসেন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে ইলা মিত্রকে নিয়ে নতুন করে জাগরণ সৃষ্টি হয়। বার বার দাবি উঠে তার পৈত্রিক ভিটা দখলমুক্ত করার। কারণ বাড়িটি একটি চক্র স্থানীয়ভূমি ও তহশিল অফিসকে ম্যানেজ করে নানা কৌশলে ভোগ দখল করে আসছে। দখলবাজরা ভুয়া কাগজ পত্র তৈরিও করেছে। এ অবস্থায় জেলাবাসী ইলা মিত্রের ম্মৃতি সংরক্ষণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আনোদালন সংগ্রাম করে আসছিলেন। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে দফায় দফায় প্রতিবেদন ছাপানো হয়। বছরের পর বছর আমলাতন্ত্রিকতা ও আইনি জটিলতায় বিষয়টি আটকে ছিল। শেষ পর্যন্ত সরকার বাড়িটি সংরক্ষণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় জেলাবাসী খুশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।