নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ঢাকা মেট্রোকে হারিয়ে আগের দিনই টানা দ্বিতীয় শিরোপা নিশ্চিত করে খুলনা। বাকি ছিলো রানার্সআপের লড়াই। সেটিরও নিস্পত্তি হলো একতরফা এক ম্যাচেই। ঢাকার বিপক্ষে চতুর্থ দিন মাত্র এক ঘণ্টা টিকছে বরিশালের দ্বিতীয় ইনিংস। সালমান হোসেন ছাড়া আর কেউ এদিন দাঁড়াতে না পারায় ইনিংস ও ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে দলটি। এই জয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে জাতীয় ক্রিকেট লিগ শেষ করেছে মোহাম্মদ শরীফের দল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল প্রথম স্তরের ম্যাচে ৪ উইকেটে ২৫৯ রান নিয়ে চতুর্থ ও শেষ দিনের খেলা শুরু করে বরিশাল। আগের দুই অপরাজিত সোহাগ গাজী ও আল আমিন জুনিয়র দ্রুত ফিরে যান। শেষ ৫ ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্কে যান কেবল সালমান (৪৬)। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে তার বিদায়ের পর ৩২১ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল। ঢাকার দেওয়ান সাব্বির ও নাজমুল ইসলাম ৩টি করে উইকেট নেন। তাইবুর রহমান ও মোশাররফ হোসেন নেন ২টি করে উইকেট। ঢাকার একমাত্র ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা ২৪২ রানের দারুণ ইনিংস খেলা তাইবুর জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এদিকে, গত মৌসুমের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় স্তরে নেমে এসেছিল রংপুর। এক মৌসুম পর আবার প্রথম স্তরে ফিরে গেল দলটি। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহীকে থেকে যেতে হল দ্বিতীয় স্তরেই। পঞ্চম রাউন্ড শেষে রংপুরের চেয়ে পিছিয়ে ছিল রাজশাহী। ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডে দুই দলের লড়াইয়ে একটি করে ইনিংস শেষ হলে ব্যবধান আরও বাড়ে। নাঈম ইসলামের দলটিকে ঠেকাতে ম্যাচে জয় ছাড়া কোনো পথ ছিল না তাদের। সেই চেষ্টা করতে গিয়ে উল্টো হারতে বসেছিল। আলোক স্বল্পতায় হার এড়িয়েছে তারা, উত্তেজনা ছড়িয়ে ম্যাচ ড্র হয়েছে। শীর্ষে থেকে লিগ শেষ করা রংপুরের পয়েন্ট ৭২। ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পেছনেই রাজশাহী। শেষ দুটি স্থানে থাকা সিলেট (৩৫) ও চট্টগ্রাম (৩৩) অনেক পিছিয়ে।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে গতকাল ৩ উইকেটে ৩১৩ রান নিয়ে চতুর্থ ও শেষ দিনের খেলা শুরু করে রাজশাহী। এদিনও কুয়াশার কারণে খেলা শুরু হতে দেরি হয়। আগের দিন শতক পাওয়া মাইশুকুর রহমান ফিরেন ক্যারিয়ার সেরা ১৬০ রানের ইনিংস খেলে। এই ইনিংসে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে এনে দেয় ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ৭৭ বলে ৭৩ রান করে ফিরেন অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম। ৭ উইকেটে ৪০৩ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে রাজশাহী। জয়ের জন্য ৫৬ ওভারে ২৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৫৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ফিরেন লিটন দাস। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জাহিদ জাভেদ ১০টি চার ও একটি ছক্কায় করেন ৭০ রান। দলীয় ১৪০ রানে তার বিদায়ের পর দলকে কক্ষপথে রাখেন মাহমুদুল হাসান ও নাসির হোসেন। তবে আলোকস্বল্পতায় থেমে যেতে হয় তাদের। তখন রংপুরের স্কোর ১৯৬/২। মাহমুদুল ৫৪ ও নাসির ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এছাড়া, শেষ দিন ৮৮ ওভার ব্যাট করে হার এড়িয়েছে চট্টগ্রাম। জয় না পেলেও পয়েন্ট তালিকায় তাদের পেছনে ফেলেছে সিলেট। ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডের ১০ পয়েন্টসহ ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছে অলক কাপালীর দল। এই রাউন্ডে ৬ পয়েন্ট পাওয়া চট্টগ্রাম ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে থেকে আসর শেষ করেছে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান নিয়ে খেলা শুরু করে সিলেট। ২৫ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে দলটি। ৪০১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ার চেষ্টায় যায়নি চট্টগ্রাম। সবাই অবদান রাখায় হার এড়িয়ে ড্র করে দলটি। ম্যাচ শেষ হওয়ার সময় ৭ উইকেটে ২৬১ রান করে তারা। সর্বোচ্চ ৫৪ রান সাজ্জাদুল হকের। ৪১ রান করে আসে ইয়াসির আলী ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ব্যাট থেকে। ৩৯ রান করেন ইরফান শুক্কুর। ৭১ রানে ৩ উইকেট নেন রাহাতুল ফেরদৌস। ১৮ রানে দুই উইকেট নেন আবু জায়েদ। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ২০০ রানের চমৎকার ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন অলক কাপালী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।