নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে বিপিএলে খানিকটা স্বরূপে ফিরেছিলেন নাসির হোসেন। ভালো পারফরর্ম করে বারবারই ব্রাত্য হয়েছেন জাতীয় দলে। সম্প্রতি শেষ হওয়া ইংল্যান্ড সিরিজেও নিজেকে মেলে ধরেছিলেন ব্যাট-বল আর ফিল্ডিংয়ে। তারপরও জায়গা হয়নি নিউজিল্যান্ড সফরে দলের সঙ্গে। তবে দলের বাইরে থাকা জাতীয় লিগে সিলেটের সঙ্গে নিজের কাজটা করে রাখলেন রংপুরের এই ব্যাটসম্যান। ছয় বছর পর জাতীয় লিগে সেঞ্চুরি পেলেন নাসির। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেটি আড়াই বছর আর যেকোনো ম্যাচের হিসেবে দেড় বছর।
সেঞ্চুরি পেয়েছেন গেল পরশু, অপরাজিত ছিলেন ১০৫ রানে। গতকাল সেটিকে ডাবলে রূপ দিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট তো অবশ্যই, নাসিরের ক্যারিয়ারে এটাই তার সর্বোচ্চ। আগের দিন সেঞ্চুরি পেতে নাসির খেলেছিলেন ১৩২ বল। সেটিকে দুইশ’তে নিয়ে যেতে খেলেছেন আরও ২০৮টি বল। আগের দিনের তুলনায় গতকালের খানিকটা ধীরেই এগিয়েছেন তিনি। নাসিরের অসাধারণ ইনিংসের সৌজন্যে ৪ উইকেটে ২২৩ রান যোগ করে চা বিরতির খানিক পরেই নয় উইকেটে ৩৯৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে রংপুর। আবু জায়েদের বলে আউট হওয়ার আগে নাসিরের রান ২০১। ঝলমলে ইনিংসটি সাজিয়েছেন ২৪ চার ও তিন ছয়ে। ১১৪ রানই তার এসেছে বাউন্ডারি থেকে।
দিনের শুরুতেই আরিফুল হককে হারালেও সপ্তম উইকেটে সোহরাওয়ার্দী শুভর সঙ্গে নাসিরের ১৪৬ রানের জুটি রানের বোঝা চাপিয়ে দেয় সিলেটের ওপর। রংপুরকে যা একটু ভুগিয়েছেন সিলেটের দুই পেসার- আবু জায়েদ ও খালেদ আহমেদ। জায়েদ নিয়েছেন ১১২ রানে ৫ উইকেটে আর খালেদ ৮৯ রানে ৪ উইকেট।
নিজেকে ছাড়িয়ে যাবার মিশনে নেমেছেন আরেক ব্যাটসম্যান তুষার ইমরান। আগের রাউন্ডেই বিকেএসপিতে ১০৮ রানের ইনিংস খেলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডে বাংলাদেশের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন তুষার। অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান পঞ্চম রাউন্ডেও তুলে নিয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। গতকাল ফতুল্লায় খুলনার হয়ে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচের তৃতীয় দিন তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে তুষারের ব্যাট। দ্বিতীয় দিন শেষে তুষার অপরাজিত ছিলেন ৭১ রানে। তৃতীয় দিন লাঞ্চের আগেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রেকর্ড ২০তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ৩৩ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান। আউট হয়েছেন ১৪১ রানে। বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তুষারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮টি করে সেঞ্চুরি আছে মোহাম্মদ আশরাফুল ও অলক কাপালির। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজারি ক্লাবের মাইলফলক পৌঁছতে আর মাত্র ১৪১১ রান দরকার তুষারের (৮৫৮৯)।
তবে খুলনাকে লিড এনে দিতে তার একার লড়াই যথেষ্ট ছিল না। দেওয়ান সাব্বিরের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ২৪ রানের লিড পেয়েছে ঢাকা। খুলনাকে প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রানে গুটিয়ে দিতে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নেন তরুণ পেসার সাব্বির। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ঢাকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৩ রান। তাইবুর রহমান ২২ ও জাহিদুজ্জামান ১১ রানে ব্যাট করছেন।
এদিকে, বোলারদের দাপটে রাজশাহীর বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানের লিড পাওয়া চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে বড় সংগ্রহ গড়ছে। অর্ধশতক পেয়েছেন ইয়াসির আলী, জসিমউদ্দিন ও প্রথম ইনিংসে শতক পাওয়া তাসামুল হক। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২২৯ রান। ৭ উইকেট হতে নিয়ে দলটি ৩১৪ রানে এগিয়ে। ৮টি চারে ৫৭ রান করে ফিরে গেছেন জসিম। তাসামুল ৫৯ ও ইয়াসির ৭৮ রানে ব্যাট করছেন। এই দুই জনে এরই মধ্যে অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে গড়েছেন ১৩৩ রানের জুটি।
৮০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন রাজশাহীর বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজীব।
এ ছাড়া, সাভারে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও হতাশা সঙ্গী করে ফিরেছেন আল-আমিন। তার দল বরিশালও পায়নি লিড। আবু হায়দার রনি ও ইলিয়াস সানীর দারুণ বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১২ রানের লিড পেয়েছে ঢাকা মেট্রো। প্রথম স্তরের এই ম্যাচের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ঢাকা মেট্রোর সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩৮ রান। মেহরাব হোসেন জুনিয়র ৩০ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ২০ রানে অপরাজিত আছেন। ৬ উইকেট হাতে রেখে ১৫০ রানে এগিয়ে আছে ঢাকা মেট্রো।
সিলেট-রংপুর
সিলেট ১ম ইনিংস : ২৭২
রংপুর ১ম ইনিংস : ১১৯ ওভারে ৩৯৮ (নাসির ২০১, ধীমান ২৬, আরিফুল ২৬, শুভ ৭৮, আলাউদ্দিন ১০, সাজেদুল ২৫*, সাদ্দাম ২*; জায়েদ ৫/১১২, খালেদ ৪/৮৯)
সিলেট ২য় ইনিংস : ১৫ ওভারে ৪৪/৩ (ইমতিয়াজ ২০*, কাপালী ১১*; সাদ্দাম ১/২০, সাজেদুল ১/৮)
ঢাকা-খুলনা
ঢাকা ১ম ইনিংস : ৩৬৬
খুলনা ১ম ইনিংস : ৯৬ ওভারে ৩৪২ (মেহেদী ৩৭, হাসান ৩১, এনামুল ১২, তুষার ১৪১, মিঠুন ৩৪, জিয়া ৩৮, রাজ্জাক ৩০, বিশ্বনাথ ১*; সাব্বির ৫/৫৮, নাজমুল ২/৮০, তাইবুর ১/২৩, জয়রাজ ১/২০)
ঢাকা ২য় ইনিংস : ৩২ ওভারে ১০৩/৩ (সাইফ ২৬, জয়রাজ ১৫, রকিবুল ২৩, তাইবুর ২২*, জাহিদ ১১*; আল আমিন ১/২৪, রাজ্জাক ১/২৬, বিশ্বনাথ ১/১৪)
চট্টগ্রাম-রাজশাহী
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৩১৫
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ৭২.২ ওভারে ২৩০ (জহুরুল ৯০, জুনায়েদ ৬২, হামিদুল ১৯, সানজামুল ১৩, মিজানুর ১০, রেজা ১০, মামুন ০*; ইয়াসির আরাফাত ২/৪০, আলী ১/৫০, মুজিবুর ১/১৮, ইফতেখার ২/১৯, কামরুল ৪/৭৪)
চট্টগ্রাম ২য় ইনিংস: ৮৩ ওভারে ২২৯/৩ (পিনাক ২৩, জসিম ৫৭, তাসামুল ৫৯*, ইয়াসির ৭৮*; সাকলাইন ২/৮০, মুক্তার ৭/১৬)
ঢাকা মেট্রো-বরিশাল
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস : ১১৫.৫ ওভারে ২৯২/১০
বরিশাল ১ম ইনিংস : ৮১.২ ওভারে ২৮০/১০ (শাহরিয়ার ৩২, ফজলে ৩৮, আল-আমিন ৮৯, মনির ৪০, সালমান ৫৫; রনি ৪/৮১, সৈকত ১/৩৭, শুভ ১/৮, ইলিয়াস সানি ৪/৮৫
ঢাকা মেট্রো দ্বিতীয় ইনিংস : ৪২ ওভারে ১৩৮/৪ (মারুফ ১২, মার্শাল ৫৪, মেহরাব জুনি. ৩০*, আশরাফুল ২০*; তৌহিদ ১/২১, সালমান ১/২৮, শাওন ১/২৪, সোহাগ ১/২৬)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।