বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, সরকার গণতন্ত্র হত্যা করে অলিখিত বাকশাল কয়েম করেছে। এই বাকশালী সরকারের বিরুদ্ধে আজ সারাদেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। ভুয়া ভোটের এই সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। জোড় করে ক্ষমতায় বসে থেকে তারা এখনো জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেনি। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে দমন করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ পরিস্থিতি চলতে পারে না।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজনে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঈন খান বলেন, আমরা এই অবৈধ সরকারকে বলেছি আপনারা শান্তিতে বিদায় নিয়ে চলে যান। আপনারা ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করুন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সেই কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। আমারা সংঘাতের রাজনীতি করি না, আপনাদের প্রতি অনুরোধ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না। এই চলমান আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো।
তিনি বলেন, আমরা এই অলিখিত বাকশালকে দূর করে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবো। সরকার মনে করে আমরা সরকারবিরোধী। আমরা সরকারবিরোধী নই, সরকারের অপকর্মের বিরোধী। সরকার অত্যাচার জুলুম করছে তাই আমরা সরকারের পদত্যাগ চাই। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আগামীতে আমরা বাংলাদেশে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আবারও রাজনীতিতে দেখতে চাই। তারেক জিয়ার নেতৃত্বে আমরা জনগণের সরকার গঠন করব।
পরে ১০ দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জে পদযাত্রা করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পদযাত্রার আয়োজক জেলা বিএনপি হলেও এতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঢল নামে। শহরের খানপুর হাসপাতাল সড়ক থেকে এ পদযাত্রা শুরু করে বিএনপি। এর আগে দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হন খানপুর এলাকায়। এটি নারায়ণগঞ্জে এ যাবতকালে বিএনপির সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মীর মিছিল বলে মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। পরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের জেলা পরিষদে গিয়ে বিএনপির পদযাত্রা শেষ হয়।
এ সময় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ, মনিরুল ইসলাম রবি, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহিদ হাসান রোজেল, রূপগঞ্জ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ আহমেদ টুটুল, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভুইয়া, জেলা যুবদল নেতা একেএম আমিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।