পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাবিশ্বে বাংলাদেশের রাজধানী ‘ঢাকা মসজিদের শহর’ হিসেবে পরিচিত; সেই মসজিদের শহর ঢাকাকে আওয়ামী লীগ সরকার ‘জুয়ার শহরে’ পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি রাজধানী ঢাকাকে যুক্তরাষ্ট্রের লাসভেগাসের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, আমরা শুনেছিলাম, বাংলাদেশকে নাকি সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশে পরিণত করা হবে। সরকার শুধু সিঙ্গাপুর নয়, সিঙ্গাপুর থেকে এক ধাপ ওপরে ঢাকা শহরকে যুক্তরাষ্ট্রের লাসভেগাসে পরিণত করেছে। যে লাসভেগাস জুয়াড়ি আর পাপীদের শহর হিসেবে পরিচিত। আজ থেকে ৪০০ বছর আগে যখন এই শহরের (ঢাকা) গোড়াপত্তন হয়েছিল তখন ঢাকার পরিচয় ছিল মসজিদের শহর হিসেবে। আজকে সেই মসজিদের শহর ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহরে পরিণত করা হয়েছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, সরকারের মিথ্যা উন্নয়নের জোয়ারে ঢাকা এখন ক্যাসিনোর শহরে পরিণত হয়েছে। এখন নাকি বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের উন্নয়নের দেশে পরিণত করেছে এই সরকার। মধ্য আয়ের নমুনার ঠেলায় যদি ঢাকা শহর লাসভেগাসে পরিণত হয় তাহলে এই দেশ যখন উন্নত দেশে পরিণত হবে তখন ঢাকা শহর কোথায় যাবে সেটা বলার কোনো সঙ্গতি আমার জানা নেই। তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকারকে অপসারণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এদেশে পুনরায় বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব যেটি একদিন করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যিনি গণতন্ত্রকে অতীতে একবার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, আমরা রাজপথে নেমেছি, আমরা রাজপথে থাকব, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা নাকি উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছি। আজকে উন্নয়নের জোয়ারে আমরা কোথায় ভেসে যাচ্ছি! বাংলাদেশের মানুষের নীতি-নৈতিকতা কোথায় ভেসে যাচ্ছে? আসলে দেশের মানুষকে মিথ্যা ভাঁওতাবাজি দিয়ে উন্নয়নের নামে বিপথগামী করা হয়েছে। অর্থনৈতিক মুক্তির ঠেলায় আমরা লাসভেগাসে পরিণত হয়েছি আর গণতন্ত্রের ঠেলায় আমরা একদলীয় স্বৈরশাসনে পরিণত হয়েছি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে লাভ নেই। কারণ তারা কথা বললে শোনে না। তারা কয়লা-ময়লা, পাথর, ব্যাংক, বীমা সবই খায়। আমরা পুলিশের কিছু ভালো কাজের জন্য তাদের প্রশংসা করি। কিন্তু যখন দেখি তাদের সামনে দিয়ে চোর, ডাকাত, ধর্ষণকারী চলে যায় তখন খারাপ লাগে। তাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নেতৃত্ব ছাড়া দেশের অনিয়ম দূর বা বন্ধ করা যাবে না।
যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়ে বাংলাদেশকে ডাম্পিং ল্যান্ড বানানো হয়েছে। আসামের নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার চক্রান্ত চলছে। দেশের সর্বত্র আজ লুটপাট চলছে অবাধে। ছাত্রলীগ ৮৬ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে দেশের ছাত্র রাজনীতিকে কলঙ্কিত করেছে। আমরা জানতাম মসজিদের শহর ঢাকা। অথচ এখন তা অবৈধ সরকারের ডিজিটাল উন্নয়নের খপ্পরে পড়ে ক্যাসিনোর শহরে পরিণত হয়েছে। ক্যাসিনোর টাকা শুধু যুবলীগের নেতারা পায় না, এই টাকা আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের বাসায় যায়। তাদেরও খুঁজে বের করতে হবে। বাকি যত ক্যাসিনো আছে সেসব চিরতরে বন্ধ করুন। না হলে জনগণ বুঝবে এসব লোক দেখানো এবং তারা নিজেই সেসব বন্ধ করবে।
ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা: হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা: আব্দুস সালাম বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রেখেছে সরকার। তিনি অসুস্থ হলেও সরকার তাকে সুচিকিৎসা দিচ্ছে না। আমরা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি। দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া ফিরে যাব না। ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের উত্তরাধিকারী হিসেবে আমরা যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভ‚মিকা রাখতে চাই। এ জন্য কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আহŸান জানান।
এ সময় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম ভুঁইয়া, শামীমুর রহমান শামীম, ড্যাবের মো. সিরাজুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম শাকিল, মেহেদী হাসান, এ টি এম ফরিদ উদ্দিন, মো. রফিকুল ইসলাম, বদর উদ্দিন সোহেল, শেখ ফরহাদ, মারুফ হাসান, মাসুদ রানা প্রমুখ। এছাড়া মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ডা: কামরুল হাসান সরদার, ডা: এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা: মিজানুর রহমান মিয়া, ডা: খন্দকার জিয়াউল ইসলাম, ডা: দিদারুল আলম, ডা: পারভেজ রেজা কাকন, ডা: শাহ মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, ডা: আদনান হাসান মাসুদ, ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, ডা: শামসুল আলম, ডা: মো. শহিদুল ইসলাম, ডা: খালেকুজ্জামান দিপু, ডা: সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, ডা: রেজাউল আলম নিপ্পন, ডা: আবু নাসের, ডা: হাফিজুর রহমান রিপন, ডা: মো. গাজী শাহীন, ডা: মো. জাফর ইকবাল, ডা: ফারুক আহমেদ, ডা: আতিকুল আলম, ডা: রুস্তম আলী মধু, ডা: মোস্তফা আজিজ সুমন, ডা: শাহনেওয়াজ দেওয়ান, ডা: মো. সায়েম, ডা: এরফান আহমেদ সোহেল, ডা: এ এস এম মাহাবুব মুন্না, ডা: মাহমুদ হোসেন নাসিম, ডা: মো. মফিজুল ইসলাম, ডা: আবুল ফাত্তাহ, ডা: সিরাজুস সালেহীন প্রিন্স, ডা: সালাউদ্দিন আল আজাদ, ডা: মশিউর রহমান কাজল, ডা: তানিয়াসহ শতাধিক চিকিৎসক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।