Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে -ড. মঈন খান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:০২ পিএম

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত দেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, সংসদ ও বিচার বিভাগ সরকারের দখলে। তাই ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন হবে কি-না, তা একমাত্র সরকারই জানে। আইনের প্রয়োগে নয়, খালেদা জিয়ার মুক্তি হচ্ছে না রাজনৈতিক কারণে। তাঁর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলবে।

রোববার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া-মোনাজাতের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন না হলে বিএনপির কর্মসূচি কী হবে জানতে চাইলে মঈন খান বলেন, বিএনপির কর্মসূচি স্পষ্ট। বিএনপি গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে ও জনগণের কল্যাণে বিশ্বাসী। আমরা মানুষের কল্যাণে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করে যাবো, যতক্ষণ পর্যন্ত দেশনেত্রীর মুক্তি না হয়।

তিনি বলেন, আমরা দুঃখ পাই যখন দেখি, সাদেক হোসেন খোকার মতো মুক্তিযোদ্ধা দেশের মাটিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারেন না। আমরা দুঃখ পাই ইসতিয়াক আজিজ উলফাতের মতো মুক্তিযোদ্ধাকে গ্রেফতার করে কারাগারে নেয়া দেখে। তাহলে এ দেশের মানুষ কি এই প্রশ্ন করতে পারে না যে, এই দেশ যদি মুক্তিযোদ্ধাদের দেশ হয়ে থাকে, তাহলে তাদের ওপরে চরম নির্যাতন কেন?

আব্দুল মঈন খান বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা অনেক বড়াই করে বলি। তবে এটা বড় কথা নয়, মুখে কে কি বললো। এই সরকারের সময় সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধাদের যখন অবমাননা হয়, তখন প্রশ্ন জাগে- এই সরকার সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কি-না।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, গণতন্ত্রের জন্য এদেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল। আমরা জানি, যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল বলে নিজেদের দাবি করে সেই তারা ছিল পলায়নপর শক্তি। তারা সাহস করে সামনে এসে যুদ্ধ করতে পারেনি। কিন্তু দেশের মানুষ জিয়াউর রহমানের আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে নেমে এসেছিল। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিষয় ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি। সরকার বড়াই করে বলে তারা নাকি ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। কিন্তু তারা এটা বলে না বিশ্বের নামিদামি একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলে দিয়েছে, বিশ্বের যে পাঁচটি দেশে ধনী-গরিবের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি বেড়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্থানে। যে দেশে ধনী-গরিবের ব্যবধান সর্বোচ্চ হারে বাড়তে পারে, সে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি কীভাবে হলো?

খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা জানি এটা রাজনৈতিক মামলা। রাজনৈতিক মামলায় খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে ৩০০ সিটের মধ্যে ২৯২ সিট দখল করা যায়। কিন্তু জনগণের ভালবাসা পাওয়া যায় না।

এসময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের আহ্বায়ক শামা ওবায়েদ, ওলামা দলের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক ও শাহজাহান মিয়া স¤্রাট প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. মঈন খান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ