পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক এক পরমাণু বিজ্ঞানী বলেছেন, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের মান, ক্ষমতা এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা ভারতের তুলনায় ভালো। তিনি বলেন, পাকিস্তানে পরমাণুব্যবস্থা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে আসায় দেশটি বাধ্য হয়ে পারমাণবিক অস্ত্রব্যবস্থা গড়ে তুলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাকিস্তানের সাবেক পরমাণুবিজ্ঞানী এবং থর কয়েল ফিল্ডের আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যাসিফিকেশন প্রজেক্টের চেয়ারম্যান সামার মুবারাকমান্দ ইসলামাবাদে এক সেমিনারে এসব কথা বলেছেন। ইসলামাবাদ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইপিআরআই) পাকিস্তানে পরমাণু শক্তির বেসামরিক ব্যবহার : সুযোগ এবং সম্ভাবনা শীর্ষক ওই সেমিনারের আয়োজন করে। সামার মুবারাকমান্দ বলেন, পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচি সবসময় শান্তিপূর্ণ ছিল। বেলুচিস্তানে মুঙ্গিতে পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (ওয়াপদা) বাঁধ নির্মাণে, পরমাণু চিকিৎসাকেন্দ্র এবং কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য পারমাণবিক কর্মসূচি চালানো হয়েছে। সাবেক এই পাক-পরমাণুবিজ্ঞানী বলেন, ২০০৮ সালে ভারতকে পরমাণু সরবরাহকারী গ্রুপের (এনএসজি) সদস্য করতে যুক্তরাষ্ট্রের লবিরা তদবির করেছিল। সাম্প্রতিক সময়েও ভারতকে এনএসজির সদস্য করতে পশ্চিমা দেশগুলো পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। তিনি বলেন, বিশ্ববাসী দেখতে পারে যে পাকিস্তান বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচি সামরিক উদ্দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে না। পাকিস্তানের পারমাণবিক উপাদানও চুরি হয়নি। আমরা উপমহাদেশের মর্যাদা রক্ষা করবই। ছোট রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভারতের পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পরই পাকিস্তান ওই পরীক্ষা চালায়। ওই পরমাণুবিজ্ঞানী দাবি করেন, ভারত ১৯৫৯ সাল থেকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু বিশ্বে ভারতের অবস্থান ভালো বলে বিবেচিত। আর পাকিস্তানের অবস্থান হচ্ছেÑ দেশটিকে বিশ্বাস করা যায় না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের মান, ক্ষমতা এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা ভারতের তুলনায় ভালো। এর আগে দুই মার্কিন পরমাণু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের কাছে বেশি পরমাণু অস্ত্র মজুদ রয়েছে। চীনসহ এই দু’টি প্রতিবেশী দেশ নিজেদের অস্ত্রভা-ার সমৃদ্ধ এবং নতুন নতুন জায়গায় অস্ত্র মোতায়েন করে চলেছে। বুলেটিন অব দি অ্যাটমিক সায়েন্স-এর একটি সংখ্যায় নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, বেইজিং, ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লি সংখ্যাগত ও গুণগতভাবে নিজেদের অস্ত্রভা-ার সমৃদ্ধ করে চলেছে এবং আরো নতুন নতুন জায়গায় এসব অস্ত্র মোতায়েন করছে। ডন, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।