Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কওমী সনদের স্বীকৃতি নিয়ে তামাশা করবেন না-পীর সাহেব চরমোনাই

এনজিওদের মোকাবেলায় কুরআন শিক্ষা বোর্ড নীরব বিপ্লব

| প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মরহুম পীর সাহেব হুজুর এনজিওদের ইসলামবিরোধী শিক্ষার মোকাবেলা করতে সারাদেশে কুরআনের বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করার জন্য কুরআন শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, কওমী শিক্ষা ধারার স্বাতন্ত্র্যতা বজায় রেখে অবিলম্বে কওমী সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রদানের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করুন।
তিনি বলেন, কওমী সনদের স্বীকৃতির দাবীতে এদেশের সকল ওলামায়ে কেরাম এখন এক বিন্দুতে ঐক্যবদ্ধ। স্বীকৃতি নিয়ে যদি সরকার টালবাহানা ও নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে কঠিন আন্দোলন গড়ে উঠবে। তিনি আরো বলেন, অতীতের সরকারগুলো কওমী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বহু তামাশা করেছে। অনেক ষড়যন্ত্র চক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু কারো ষড়যন্ত্র চক্রান্তই টিকে নাই। এদেশের কওমী মাদরাসাগুলো জনগণের সহযোগিতা নিয়ে টিকে আছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল সকালে রাজধানীর গুলিস্তান কাজী বশির মিলনায়তনে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে “কওমী মাদরাসার স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবীতে মাদরাসা প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। প্রতিনিধি সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ আফ্রিকার এদারায়ে কওমীয়া বোর্ডের মহাসচিব শায়খ মুফতি জাকারিয়া, বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী, বেফাকের মহাসচিব মুফতী আব্দুল কুদ্দুস, বিশিষ্ট আলেম ও শিক্ষাবিদ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম, বেফাক দ্বীনিয়ার মহাসচিব মুফতী মোহাম্মদ আলী, আলিমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা তৈয়্যব, নির্বাহী সভাপতি মুফতী সৈয়দ নুরুল করীম, মহাসচিব আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সদস্য সচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বোর্ডের সিনিয়র প্রশিক্ষক মাওলানা আব্দুস সাত্তার হামিদী, মাওলানা মিজানুর রহমান নোমানী। সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক জেহাদী। প্রিন্সিপাল মাওলানা মকবুল হোসাইন, হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মুফতী ওমর ফারুক, প্রিন্সিপাল মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, মাওলানা হাবীবুর রহমান মিসবাহ, মুফতী ইজহারুল ইসলামসহ শতাধিক মাদরাসার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে পরামর্শ প্রদান করেন।
পীর সাহেব বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও কর্তাব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে কওমী মাদরাসায় সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ তৈরি হয় বলে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে আজ প্রমাণিত হচ্ছে সরকার স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহেই সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ তৈরি হয়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিতর্কিত শিক্ষানীতি ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশ থেকে ইসলাম বিদায় করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি দেশের প্রতিটি মুসলিম নাগরিককে এই ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, এদেশের কওমী মাদরাসাগুলো একটি মৌলিক অপরিবর্তনশীল, স্থায়ী এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি শিক্ষা ব্যবস্থার ধারক। এ শিক্ষা ব্যবস্থা  কারো খাছে ধরনা দিতে পারে না বরং সবারই কর্তব্য এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে আপন করে নেয়া।
আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, ইসলামবিরোধী শিক্ষা জাতির মেরদ- ভাঙ্গার প্রথম হাতিয়ার। তাই কুরআন শিক্ষা বোর্ড গঠন জাতির মেরুদ- ধর্মভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার নীরব বিপ্লব। যারা ইসলামী শিক্ষাকে নিভিয়ে দিতে চায় তারাই নিভে যাবে। ইংরেজও টিকে থাকতে পারে নাই। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদমুক্ত দেশ গঠনে  প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হচ্ছে কওমী সনদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত স্বীকৃতি দেয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পীর সাহেব চরমোনাই


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ