মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরসের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। তাকে পালটা দিয়েছে কেন্দ্র। এমনকী, বিরোধী কংগ্রেসও জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের বিষয়ে তার মাথা না গলানোই শ্রেয়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কে এই সোরস? ঠিক কীই বা বলেছেন তিনি? আসুন জেনে নেয়া যাক-
৯২ বছরের সোরস পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় ধনীদের একজন। এক ধনী ইহুদি পরিবারে জন্ম তার। কিন্তু নাৎসিদের নির্যাতন শুরু হওয়ার পর মাত্র ১৭ বছর বয়সেই হাঙ্গেরি ছেড়ে চলে আসে তার পরিবার। ১৯৪৭ সালে সোরস পৌঁছন লন্ডনে। লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিকসে দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করেন। পরে ১৯৫৬ সালে চলে আসেন আমেরিকায়।
অর্থনীতির জগতে দ্রুতই তিনি ছাপ রাখতে শুরু করেন। দুঁদে বিনিয়োগকারী হিসেবে গোটা বিশ্ব তাঁকে চেনে। সাহসী বিনিয়োগে তাঁর জগৎজোড়া নাম। পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার প্রচার করতে প্রতিষ্ঠা করেছেন ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন। তাঁর এই সংস্থা গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার প্রচার করে দেশে বিদেশে। পাশাপাশি বাক স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও অনুদান দেয় তার সংস্থা।
সম্প্রতি জার্মানির মিউনিখে একটি সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন জর্জ। সেখানেই তাকে বলতে শোনা যায়, ”মোদি এই বিষয়ে (আদানি কাণ্ড) নিয়ে এখনও নীরব। কিন্তু তাকে জবাব দিতেই হবে। এই ঘটনা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মোদির রাশকে দুর্বল করে দেবে।” সেই সঙ্গেই তার আশা, এবার ভারতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসবে। তার এমন মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, তিনি বলতে চাইছেন ভারতে এই মুহূর্তে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নেই। স্বাভাবিক ভাবেই এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক ঘনিয়েছে। কেন্দ্র থেকে বিরোধী সকলেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তার এমন মন্তব্যের। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।