মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসরাইলি সংস্থার তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ভারতকে বিক্রি করা হয়েছিল, আর সেই চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদির ইসরাইল সফরেই সেই ব্যবস্থা পাকা করা হয়েছিল। জনপ্রিয় মার্কিন পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসে অন্তত এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
‘বিশ্বের সবথেকে ক্ষমতাশালী সাইবার অস্ত্রের লড়াই’ শীর্ষক ওই তদন্তমূলক প্রতিবেদনের দাবি ঘিরে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। যদিও এখন পর্যন্ত এ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে যে কোনো অ্যানড্রয়েড স্মার্ট ফোন বা আইফোন থেকে গোপন তথ্য সহজেই হাতিয়ে নেয়া যায়। ভারতে ইতোমধ্যেই এ ঘটনার তদন্তের জন্য প্যানেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অভিযোগ, দেশের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের ফোনই এ স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাক করা হয়েছে। যাদের মধ্যে অন্তত একজন বিচারপতি এবং সাংবাদিকও রয়েছেন। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তদন্তের মাধ্যমে ফোন হ্যাক হওয়ার স্বপক্ষে প্রমাণ জোগাড় করেছে বলেও নানা মহলে দাবি করা হয়েছে।
শুক্রবার ওই মার্কিন পত্রিকার ওয়েবসাইটে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘পেগাসাস স্পাইওয়্যারকে কেউ যাতে দমনের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার ওপর লাগাতার নজরদারি করেছে ইসরাইলের সরকার। কিন্তু, তারপরও পোল্যান্ড, হাঙ্গারি এবং ভারতকে এই স্পাইওয়্যার বিক্রি করা হয়’। এ ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে। এছাড়াও অন্য একটি প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট মার্কিন পত্রিকার তরফে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একের পর এক বিক্রয় চুক্তির লাইসেন্স মঞ্জুর করে গেছে। আর তার মাধ্যমেই পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও ভারত-সহ একাধিক দেশের চরম ডানপন্থী নেতাদের কাছে পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিক্রি করা হয়েছে’। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এ দাবি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোদি সরকারের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে আরো দাবি করা হয়েছে, ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদে ভর করেই ভারতের মসনদে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে তিনি ইসরাইল সফরে যান তিনি। তিনিই প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি ইসরাইলে সরকারি সফর করেন। দশকের পর দশকের ধরে ভারতের সরকার ‘প্যালেস্তেনীয়দের স্বার্থে’ নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছিল। যার জেরে ইসরাইলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিল হিমশীতল’।
ওই একই প্রতিবেদনে মোদির ইসরাইল সফর সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘এ প্রেক্ষাপটে মোদির সফর অবশ্য উল্লেখযোগ্যভাবে ‘আন্তরিক’ ছিল। যেভাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে খালি পায়ে স্থানীয় সৈকতে হেঁটেছিলেন মোদি, তা অত্যন্ত সচেতনভাবে আয়োজন করা হয়েছিল। এ সৌহার্দ্যরে পেছনে যথেষ্ট কারণ ছিল। দুই দেশই অত্যাধুনিক হাতিয়ার এবং ব্যবস্থাপনার আদানপ্রদান ও বিক্রিতে সহমত হয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছিল। পেগাসাস স্পাইওয়্যার ও ক্ষেপণাস্ত্র এ চুক্তির প্রধান পণ্য ছিল’। অর্থাৎ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারি সফরে পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেনার বিষয়টি পাকা হয়েছিল। সূত্র : দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, দ্য হিন্দু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।