মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বছর শুরুতেই ‘টারগেট কিলিং’-এর ঘটনা ঘটেছে ভূস্বর্গে। রাজৌরিতে গোলাগুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ছয় জন। ওই ঘটনার পরে কাশ্মীরে বাড়তি ১৮ কম্পানি আধাসেনা পাঠাচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ নতুন করে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তায় ১৮০০ আধাসেনা নিয়োগ করা হল। মূলত জম্মুর পুঞ্চ এবং রাজৌরি জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবেন এ সেনারা।
রবিবার সন্ধেবেলা রাজৌরির ডাংরি গ্রামে ভয়াবহ হামলা হয়। আচমকা হানা দেয় ২ বন্দুকবাজ। গ্রামের তিনটি বাড়িতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে তারা। প্রথমে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। পরে রাজৌরির মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাণ হারান আরও ২ গ্রামবাসী। আরও ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের জম্মুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্যে। জানা গিয়েছে মৃতরা সকলেই হিন্দু। তাদের নাম দীপক কুমার, সতীশ কুমার, প্রীতম লাল ও শিব পাল। জঙ্গিরা ডাংরি গ্রামের ঢুকে গ্রামবাসীদের আধার কার্ড দেখতে চায়। তাতে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয়।
আজ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ কোম্পানি সিআরপিফ দ্রুত মোতায়েন হবে রাজৌরিতে। বাকি ১০ কোম্পানিও দিল্লি থেকে ইতিমধ্যে রওনা দিয়েছে। উল্লেখ্য রাজৌরিতে আরও একটি হামলায় আরও দু’জনকে বন্দুকধারীরা সোমবার সকালে হত্যা করেছে বলে জানা গিয়েছে। হামলার পর কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জম্মুতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করলেও দল বিজেপিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
বুধবার তিনি বলেন, “কাশ্মীরে নীরিহ মানুষ মারা গেলে লাভ হয় গেরুয়া দলের।” তার কথায়, “কাশ্মীরে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হলে লাভবান হয় বিজেপি। কারণ ওরা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গল্প ফাঁদে এবং বাকি ভারতের কাছে কাশ্মীরিদের দানব হিসেবে তুলে ধরে। যদিও কেন এই ঘটনা ঘটছে সেই প্রশ্ন তোলা হয় না।” পাশাপাশি রবিবারের হামলার জন্য সেনাকে দায়ী করেন পিডিপি নেত্রী। বলেন, “রাজৌরির মানুষের অভিযোগ, এসব হামলার জান্য দায়ী সেনা।” তিনি দাবি করেন, স্থানীয় মানুষ আগেই এলাকায় হামলার কথা জানিয়েছিল সেনাকে। তার পরেও হামলা হয়েছে। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।