Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কানাডায় নিহত তিন শিক্ষার্থীর একজনের লাশ আসছে ২৪ ফেব্রুয়ারি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:০৫ পিএম | আপডেট : ৭:০৭ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

কানাডার টরন্টোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের মরদেহ ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এক শিক্ষার্থীর লাশ আনার সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাকি দুজনের মরদেহ দেশে আনতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হাইকমিশনের পক্ষ থেকে দুটি ফিউনারেল হোমের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ দেশে পাঠাতে বেশ কিছু জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মৃত্যসনদসহ বেশ কিছু কাগজপত্র জোগাড়ের জন্য হাসপাতালসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
হাইকমিশন ও কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে নিহত তিন শিক্ষার্থীর পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয় যে শিক্ষার্থীদের মরদেহ পরিবহনে সম্ভাব্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় যাওয়ার জন্য বিমান টিকিটে অগ্রাধিকার দিতেও বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কানাডার টরন্টোতে গত সোমবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুর্ঘটনার শিকার হয় বাংলাদেশি চার শিক্ষার্থীর গাড়ি। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরেকজন।
ওই ঘটনায় গুরুতর আহত কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে কুমার নিবিড় টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা এখন কিছুটা ভালোর দিকে বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। তিনিই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
স্বজনদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ঘটনায় নিহতরা হলেন অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈ শ্রেয়া, আরিয়ান আলম দীপ্ত ও শাহরিয়ার খান। তবে হাইকমিশন থেকে তাদের পরিচয় এখনো জানানো হয়নি।
আর কুমার বিশ্বজিতের ছেলে কুমার নিবিড়ের শরীরে দুবার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখন তাঁর অবস্থা কিছুটা ভালো বলে জানিয়েছেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সংগীতশিল্পী কিশোর দাশ।
এদিকে ছেলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পরে কানাডায় গেছেন কুমার বিশ্বজিৎ ও তাঁর স্ত্রী। কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে কথা হয় কিশোরের। তিনি বলেন, ‘নিবিড়ের অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য তাঁর মুখে যে নল লাগানো হয়েছে, সেটা আগামীকাল খুলে দেওয়া যাবে বলে চিকিৎসকেরা আশা প্রকাশ করেছেন।’
এক টুইট বার্তায় অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, হাইওয়ে-৪২৭ কানাডার দুন্দাস স্ট্রিট ওয়েস্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গাড়িতে থাকা চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী ভিসায় টরন্টোতে বসবাস করছিলেন।
নিহতদের মধ্যে ২০ বছর বয়সী দুজন তরুণ-তরুণী রয়েছেন। নিহত আরেকজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। ২১ বছর বয়সী এক যুবক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় তিনি আহত হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে প্রাণে বাঁচলেও তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতদের পরিবারকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন, অন্যজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। তবে কানাডার পুলিশ বা দেশটির গণমাধ্যমে হতাহত শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
টরন্টো পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। সড়ক বিভাজকে ধাক্কা লেগে গাড়িটি উল্টে আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভান এবং হতাহতদের উদ্ধার করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ