নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : চেনা ভেন্যু নেলসনে ২১ মাস পর ফিরে যেনো স্মৃতিকাতর বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডের ছোট্ট এই শহরে স্কটল্যান্ড ওপেনার কোয়েজারের ১৫৬ রানের ইনিংসে কি ভয়ই পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। অথচ, স্কটল্যান্ডের ৩১৮/৮ স্কোর দেখে যেখানে হতভম্ব হওয়ার কথা, সেখানে ওই স্কোরকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে ১১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের বিশাল জয়ে সাক্সট ওভালে প্রাণখুলে হেসেছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি চেজ করে বাংলাদেশের সেই জয়ের নায়ক তামীমের উপরই পড়ছে তাই সব আলো। ১০০ বলে ৯৫ রানের ক্যালকুলেটিভ ইনিংসই শুধু নয়, ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ওপেনিং পার্টনার সৌম্যকে হারিয়েও হতোদ্যম হতে দেননি তামীম সেই ম্যাচে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাহামুদুল্লাহকে নিয়ে ১৩৯ এবং ৩য় উইকেট জুটিতে মুশফিকুরকে নিয়ে ৫৭ রানে নেতৃত্ব দেয়া তামীম নেলসনের সেই ম্যাচ উইনিং ইনিংস থেকে টনিক পাচ্ছেন তামীমÑ‘ কোনো মাঠে ভালো করার অতীত থাকলে সেই মাঠে ভাল খেলার উৎসাহ জোগায়।’ তবে ওই অতীত ভেবে নিজের উপর বাড়তি চা চাপ নেয়ার পক্ষে নন তামীমÑ‘ এই মাঠে আবার নেমে ৯৫ হয়ে যাবে,এটা ভাবা ঠিক নয়। শূন্য রানেও আউট হতে পারি। নতুন ম্যাচে শূন্য থেকেই শুরু করতে হয়।’
ক্রাইস্টচার্চে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ৩৪১/৭ স্কোর আতঙ্কে ফেলেছে বাংলাদেশ দলকে, ৭৭ রানে হারের কারণ হিসেবে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করছেন তা। তিনশ’র উপর রান তাড়া করে বাংলাদেশের জয়ের অতীত হাতে-গোনা ক’টি বলে নিউজিল্যান্ডের ওই স্কোর চেজ করা কঠিন হয়ে গেছে, তা মানছেন তামীম নিজেওÑ ‘ওই লক্ষ্য তাড়া করা যায়, বিশ্ব ক্রিকেটে তা হচ্ছেও। তবে আমাদের দলের কথা বললে, হাতে গোনা দুই-তিনবারই আমরা কেবল তিনশ’র বেশি তাড়া করে জিতেছি। তিনশ’ রানের বেশি তাড়া করতে শেখাও অভ্যাসের ব্যাপার। আমরা যে কন্ডিশনে বেশি খেলি, সেখানে ৩৪০ রান হরহামেশা হয় না। আর এই কন্ডিশনে ভালো উইকেটে ৩২০-৩৩০ নিয়মিত হয়। সেই অভ্যাস আমাদের নেই।’
তবে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে ক্রিকেট পরাশক্তিরাও যেখানে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়, সেখানে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের স্কোর ২৬৪ কে সিরিজের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ভাল খেলার প্রেরণা দিচ্ছে বলে মনে করছেন তামীমÑ ‘পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ৬ বছর পর আমরা নিউজিল্যান্ডে এসেছি। নেলসনে আসার ৭ দিন আগে হয়তো নিউজিল্যান্ডে এসেছি। কিন্তু পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগতেই পারে। এখানকার পরিবেশ বাংলাদেশের ঠিক উল্টো। বিশ্বের বড় দলগুলো পর্যন্ত এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সংগ্রাম করে।’
গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ০-১ এ পিছিয়ে পড়ে ২-১ এ সিরিজ জেতার অতীত আছে বাংলাদেশের। সে কারণেই সিরিজের প্রথম ম্যাচের ভুল-ক্রটি শুধরে সিরিজে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন অধিনায়ক মাশরাফিÑ ‘আমাদের সুযোগ আছে জেতার। সিরিজ নয়, অন্ততঃ একটি ম্যাচ তো জিততে পারি। তাই অপাততঃ আমরা পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। মাঠে নেমে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঠিকমত করতে পারলে জিততে না পারার কারণ নেই। এই দলটির উপর ওপর সে বিশ্বাস আছে আমার।’
এদিকে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৪৭,১৪৮ কিলোমিটার গতিতে বোলিংয়ের সঙ্গে শর্ট ডেলিভারিতে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের পর্যুদস্ত করায় সাহসে বলীয়ান পেসার ফার্গুসন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতম দিক চিহ্নিত করতে পেরেছেনÑ ‘এক্সট্রা পেস ও বাউন্সে অভ্যস্ত নয় বাংলাদেশ। এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে সফরকারীদের শাসন করা সম্ভব। পরের ম্যাচেও এটা প্রয়োগ করতে চাই।’
নেলসনের সাক্সটন ওভালে হারেনি কখনো নিউজিল্যন্ড। ৩ ম্যাচের ২টিতে জিতেছে, অন্যটি ভাসিয়ে নিয়েছে বৃষ্টি। জানেন, এই মাঠে ৩শ’ স্কোরের অতীত নেই নিউজিল্যান্ডের। সেখানে এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড (৩২২/৪) কিন্তু বাংলাদেশ দলের। এই অতীত থেকে প্রেরণা পেতে পারে বাংলাদেশ। ক্রাইস্টচার্চের হেলগি ওভালের মাঠটি থেকে আয়তনে বড় নেলসনে চেনা পরিবেশ থেকেও নিতে পারে বাংলাদেশ বুক ভরা নিশ্বাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।