পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হলেই গণতন্ত্রের মুক্তি হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে বন্দী রাখা মানে গণতন্ত্রকে বন্দী রাখা। সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখে গণতন্ত্রকে বন্দী রেখেছে। বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র আজ যেন সমার্থক। বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে। গণতন্ত্রের মুক্তি হলেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে। জনগণ আজ গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার সংগ্রামে অবতীর্ণ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র বিরোধী সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী সন্নিবেশিত করে ১০ দফা দাবী উপস্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই এই ১০ দফা দাবী জনগণের ব্যাপক সমর্থন লাভ করেছে। সরকার এই দাবীকে অগ্রাহ্য করে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে ষড়যন্ত্র করছে। হত্যা, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ও ব্যাপক দমন-নিপীড়ন চালিয়ে, মানবাধিকার হরণ করেও ফ্যাসিস্ট সরকার আন্দোলন দমন করতে পারছে না। সকল বাধা অতিক্রম করে আন্দোলন এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। গতকাল বুধবার বেগম খালেদা জিয়ার ৫ম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর জেল-জুলুম, নির্মম-নির্যাতন হয়েছে, তার অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। তিনি সমগ্র দেশবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের এই নির্মম নির্যাতনের তীব্র ধিক্কার জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের অন্যায় চাপ ও অগণতান্ত্রিক কাজের প্রতি মাথা নত করেননি, আপোষ করেননি বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে জনবিচ্ছিন্ন সরকার ভয় পায়। এজন্যই তাঁর ওপর এত জুলুম নির্যাতন নেমে এসেছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সাহসের বাতিঘর। স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের ঐক্যের প্রতীক, আশা ভরসার নির্ভরযোগ্য নেত্রী, তিনি মজলুম দেশনেত্রী। বেগম খালেদা জিয়া আমাদের প্রেরণার উৎস। চলমান গণ-আন্দোলন সফল করে তাঁর লালিত স্বপ্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সম্মিলিত সংগ্রাম চলছে। ইনশাল্লাহ এই সংগ্রাম সফলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে, অগণতান্ত্রিক, গণবিরোধী সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার লালিত স্বপ্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। মির্জা ফখরুল অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক দিন। ২০১৮ সালের এই দিনে প্রতিহিংসাপরায়ণ আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ১/১১’র জরুরী অবস্থায় সরকারের বিরাজনীতিকরনের মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী সাজা দিয়ে অন্যায়ভাবে আটক রেখেছে। শুধু ফরমায়েশী সাজা দিয়ে তাঁকে আটক রাখা হয়নি, তাঁর প্রাপ্য জামিনের অধিকার কেড়ে নিয়ে ২৫ মাস অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দী রেখেছিল। বন্দী থাকা অবস্থায় সু-চিকিৎসার অভাবে তার অসুস্থতা আরও তীব্র হয় এবং তাঁর জীবন হুমকীর মুখে পড়ে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে উঠে। এই আন্দোলনকেও দমন করতে সরকার নিষ্ঠুর নির্যাতন চালায়। দেশ-বিদেশে সর্বত্র বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবী সোচ্চার হয়। আইনগতভাবে বার বার তার জামিনের আবেদন করা হলেও সরকারের হস্তক্ষেপে জামিন দেওয়া হয়নি। আইনি লড়াই করতে বিদেশ থেকে আইনজীবী আসতে চাইলেও সরকারের আপত্তির কারণে তাকে আসতে দেয়া হয়নি। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে শর্ত সাপেক্ষে সরকার তাঁর সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে তাঁকে প্রকারান্তরে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তাঁর উন্নত, উপযুক্ত সু-চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাঁকে বিদেশে উন্নত বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সুপারিশ করলেও, সরকার তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়নি। এসব ঘটনায় দিবালোকের মত সত্য প্রমানিত হয় যে, সরকারের অগণতান্ত্রিক, গণবিরোধী, আইন পরিপন্থি কার্যকলাপ, দুর্নীতি, লুটপাট, ভোটের নামে প্রহসন নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে ফ্যাসিবাদী সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্যই ফরমায়েশী সাজা দিয়ে, তাঁর সকল আইনগত অধিকার কেড়ে নিয়ে তাঁকে আটক করে রেখেছে। অপরাধ না করেও ফ্যাসিবাদী সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে হেয় প্রতিপন্ন ও জনমতকে বিভ্রান্ত করতে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে, প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। কিন্তু জনগণ জানেন ও বিশ^াস করেন তাদের প্রিয় নেত্রী কোন অপরাধ করেননি। শুধুমাত্র সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে বেগম খালেদা জিয়ার উপর নির্মম, নিষ্ঠুর জুলুম নেমে এসেছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।