গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশ জাতি আজ মহাসঙ্কট কাল অতিক্রম করছে। শতকরা ৯৫ মুসলমানের এই দেশে মুসলিম জাতিসত্তা আজ সঙ্কটাপন্ন। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি ও মাদরাসা থেকে ইসলাম শিক্ষা আজ বিলীন হওয়ার পথে। বিজাতীয় হিন্দুত্ববাদী শিক্ষাথসংস্কৃতি আজ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে। ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল ষড়যন্ত্র আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সরকার দেশের সকল শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলামী শিক্ষা বাদ দিয়ে রাম-বামদের প্রণীত নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার দ্বার প্রান্তে। প্রণীত শিক্ষাব্যবস্থায় ডারউইনের বিতর্কিত বিবর্তনবাদ, মূর্তি পুজা, দুর্গাপূজা, রথযাত্রা, মঙ্গলযাত্রাসহ হিন্দুয়ানী কিচ্ছা কাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অপর দিকে কোরআন, হাদীস, নবী রাসূলগণের জীবনী বাদ দেয়া হয়েছে। মাদরাসায় পড়ে একজন ছাত্র যোগ্য আলেম হবে। এটাই ছিল মাদরাসার শিক্ষার উদ্দেশ্য। কিন্তু রাম বাবুদের সিলেবাস মাদরাসায় ঢুকিয়ে দিয়ে মাদরাসা শিক্ষার স্বকীয়তা ধ্বংস করা হয়েছে। আর এসব করা হয়েছে দেশী এবং বিদেশী ষড়যন্ত্রে।
মাদরাসা ও ইসলামী শিক্ষাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের যে ভূত সরকারের ঘাড়ে চেপে বসেছে তার বিষদাঁদ ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রয়োজন তৌহিদী জনতা, আলেম-ওলামা পীর-মাশায়েখ সর্বস্তরের জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। তৌহিদী জনতার উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলাম ও মাদরাসা শিক্ষা রক্ষায় যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। অবিলম্বে মাদরাসা শিক্ষার জন্য আলাদা শিক্ষাক্রম চালু করতে হবে। স্কুলের বই মাদরাসায় পড়ানো চলবে না। এসএসসি বোর্ড পরীক্ষায় ইসলাম শিক্ষা পুনর্বহাল ও বাধ্য মূলক করতে হবে। নেতৃবৃন্দ জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের ঘোষিত ১৩ দফার প্রতি সমর্থন জানান। এবং অবিলম্বে তা মেনে নেয়ার জন্য সরকারে প্রতি আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন। নগর আমীর মোস্তফা বশীরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ রুহুল আমীন। আরো বক্তব্য রাখেন, আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল মোস্তফা তারেকুল হাসান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা এএমএম কামাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মাওলানা মো. ফারুক আহমাদ, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো. আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা মো. আব্দুর রহমান, ঢাকা মহানগরীতে জয়েন্ট সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা হযরত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক এফএম আলী হায়দার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আজমল হোসেন, ডেমরা থানার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শক্তির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আব্দুল খালেক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।