বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের (কুমেক) হোস্টেলে অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা।
নিহত চিকিৎসক ডা. মিনহাজ উল করীম ভূঁইয়া কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ২৪তম ব্যাচের ইন্টার্ণ চিকিৎসক ছিলেন। তার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই এলাকায়।
এ সময় তার পড়ার টেবিলের কক্ষে একটি চিরকুট পাওয়া যায়, সেখানে লেখা আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
বুধবার রাতে সার্জারি-১ বিভাগে তার নাইট ডিউটি ছিলো। কিন্তু যথাসময়ে তিনি হাসপাতালে না এলে একাধিকবার তাকে কল করা হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ করছিলেন না। একপর্যায়ে রাত ৯টা পার হয়ে গেলেও তিনি হাসপাতালে না আসায় ২৫ ব্যাচের মোদাচ্ছের নামে এক ইন্টার্নিকে তার হোস্টেলে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে তার কক্ষের দরজা বন্ধ দেখতে পান মোদাচ্ছির। দরজা ধাক্কা দিলেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না। এসময় তিনি পাশের কক্ষের শিক্ষার্থীদের ডেকে আনেন। তারা জানালা দিয়ে দেখেন, অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মিনহাজ ঝুলে আছেন। দ্রুত দরজা ভেঙে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু এর অনেক আগেই তিনি মারা যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক জানান, ছাত্র জীবনে একাধিক বার ফেল করায় তার মধ্যে মানসিক বিষন্নতা ছিলো। আত্মহত্যার পেছনে পুরোনো বিষন্নতার পাশাপাশি পারিবারিক কোনো কারণও থাকতে পারে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, যে কক্ষে মিনহাজের মরদেহ পাওয়া যায়, সেখানে তিনি একাই থাকতেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি নোট উদ্ধার করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।