গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরের গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের সামনে গুলির ঘটনায় একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ও গুলি করা উভয় ব্যক্তিকেই আটক করেছে পুলিশ। গোলাগুলির ঘটনা গুলশান-১ এর গ্লোরিয়া জিন্সের সামনে ঘটলেও এর সূত্রপাত একই এলাকার গুলশান শপিং সেন্টারের আলফা জেনারেল স্টোর নামের একটি দোকানে।
ওই দোকানের মালিক হাবিবুর রহমান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি নম্বরে বিকাশ করার জের ধরে ঘটনা গোলাগুলি পর্যন্ত গড়ায়। ডিএনসিসি মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ড শহীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আরিফ নামে এক ব্যক্তি ওই বিকাশের দোকানে এসে ৩/৪টি নম্বরে ৭৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। হাবিবুর আরিফের কাছ থেকে টাকা না নিয়েই নম্বরগুলোতে ৭৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। টাকা পাঠানোর পর তিনি আরিফের কাছে টাকা চান। তখন আরিফ টাকা না দিয়ে বলেন, ‘আপনি একটু দাঁড়ান, আমার লোক টাকা নিয়ে আসছে’। দীর্ঘসময় অপেক্ষা করার পর আরিফকে আটক করা হয়।
আটক অবস্থায় আরিফ বলেন, ‘আমার বাবার সাথে কথা বলেন।’ তখন আরিফ তার বাবাকে ফোন দিয়ে হাবিবুরকে ধরিয়ে দেন। তখন ফোনে আরিফের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে (আরিফ) কি করেছে এটাতে আমার কোনো রিস্ক নাই, আমার কোনো দায়িত্ব নাই।’ দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর বলেন, আরিফকে আটক রাখার সংবাদ পেয়ে তার দুই সহযোগী ডিএনসিসি মার্কেটে আসেন। তার মধ্যে একজনের কাছে অস্ত্র ছিল। তার নাম অহিদুল। তিনি আরিফকে ছাড়িয়ে নিতে এসে ভয় দেখাত ১ থেকে ২ রাউন্ড গুলি করেন। গুলি করার পর স্থানীয়রা শুটারকে জড়িয়ে ধরেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একসময় তারা (আরিফের দুই সহযোগী) দৌড়ে গ্লোরিয়া জিন্সের দিকে যেতে থাকে ও গুলি ছুড়তে থাকে।
এদিকে আরিফ এবং আরিফের সহযোগীরা গুলশান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুলশান ১ নম্বরে গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের সামনে গুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আ. আহাদ বলেন, বিকেল ৪টার দিকে গ্লোরিয়া জিন্স নামক রেস্টুরেন্টের সামনে গুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমরা জড়িত দুজনকে হেফাজতে নিয়েছি। তাদের আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধতা, নাম-পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, টাকা পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনার সূত্রপাত। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান আ. আহাদ।
জানা গেছে, গুলিতে আহত ব্যক্তির নাম আমিনুল। আর যিনি গুলি করেছেন তার নাম অহিদুল। পুলিশ দুজনকেই আটক করেছে। তবে আমিনুল নামের ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।