Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইজতেমার দ্বিতীয় দিনেও টঙ্গীমুখী মুসল্লীদের ঢল

ইবাদত বন্দেগি ও জিকির আজকারে মশগুল মুসল্লিরা

টঙ্গী সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:২৮ এএম

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন শনিবারও (১৪ জানুয়ারি) টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে মুসল্লিদের ঢল অব্যাহত রয়েছে। আজ বাদ ফজর থেকে ইজতেমা মাঠে কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈমান-আমলের মজবুতি ও দাওয়াতে তাবলীগের গুরুত্ব বিষয়ে বয়ান চলছে। দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা আলেমরা বিভিন্ন বিষয়ে বয়ান করছেন। পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সহিত সালাত আদায়, ব্যক্তিগত ইবাদত, জিকির আজকার ও বয়ান শ্রবণে মশগুল আছেন মুসল্লিরা।

ইজতেমা আয়োজক কমিটির অন্যতম মুরুব্বি প্রকৌশলী মাহফুজ জানান, প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদুল হক। সকালের বয়ানে বলা হয়, 'পরকালের চিরস্থায়ী সুখ শান্তির জন্য আমাদের প্রত্যেককে দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বীনের দাওয়াতের কাজে জানমাল দিয়ে মেহনত করতে হবে। ঈমান আমলের মেহনত ছাড়া কেউ হাশরের ময়দানে কামিয়াব হতে পারবে না। দাওয়াতের মেহনত হলো নবুওয়াতি মেহনত। খুলুসিয়াত ও আজমতের সঙ্গে যারা মেহনত করবে তাদের যেকোনও আমলের ফজিলত বহুগুণ বেড়ে যায়।'
সকাল ১০টায় বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেওলা, পরে মাদ্রাসা ছাত্রদের উদ্দেশ্যে খুসুসী (বিশেষ) বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদ, আরব জামাতের জন্য বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আহমদ লাট, বোবা ও বধিরদের জন্য বয়ান করেন ভারতের মাওলানা সানোয়ার, বিদেশি জামাতের মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে ইংরেজিতে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা ইফতার জামান। বাদ জোহর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ফারুক। বাদ আসর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা যুহাইরুল হাসান এবং অনুবাদ করবেন মাওলানা যোবায়ের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলবে বয়ান। ইজতেমায় মূল বয়ান উর্দুতে হলেও অংশ নেওয়া বিভিন্ন ভাষাভাষী মুসল্লিদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে।
আগামীকাল রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বরাবরের মতো এবারও সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছ। আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়েতি বয়ানের পর বিশ্ব তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মোনাজোতে বিশ্বের সকল মানুষের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। আয়োজকরা ধারণা করছেন, প্রায় ২৫-৩০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি আখেরি মোনাজাতে অংশ নেবেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) উপ-কমিশনার আলমগীর হোসেন জানান, মহাসড়ক গতকালের চেয়ে ফাঁকা থাকলেও ইজতেমামুখী মুসল্লিদের স্রোত কমেনি। ট্রাফিক ব্যবস্থা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ থাকায় যানবাহন চলাচল ও মুসল্লিরা নির্দেশনা মেনে চলাচল করায় কিছুটা ফাঁকা দেখা যাচ্ছে।

 



 

Show all comments
  • Hasan ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১:১৬ পিএম says : 0
    এ দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ মানুষ, আমরা সবাই চাই ইসলামের আইন প্রতিষ্ঠা হোক
    Total Reply(0) Reply
  • Tutul ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১:২০ পিএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • aman ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১:২০ পিএম says : 0
    এ দেশের মানুষ সব সময়ই চাই ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠা হোক। সব সময়ই আমরা ইসলামের ডাকে সাড়া দেই। এমনকি ইসলামের জন্য আমরা জান দিতেও প্রস্তুত
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইজতেমা

১৭ জানুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ