Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই কুষ্টিয়ায় চলছে ইজতেমা

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ৫:৪০ পিএম

প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই কুষ্টিয়ায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মশান এলাকায় এই ইজতেমা শুরু হয়।

ইজতেমার আয়োজকরা জানান, এরইমধ্যে ইজতেমায় নিতে দেশ-বিদেশের প্রায় ২০ হাজার মুসল্লি সমবেত হয়েছেন। বিশেষ করে সৌদি আরব ও ইংল্যান্ড থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসল্লি ও আলেম এসেছেন ইজতেমায় অংশ নিতে।

জানা গেছে, ২৫ একরের বিশাল এলাকা জুড়ে চলছে এই ইজতেমা। এ লক্ষ্যে ইজতেমা প্রাঙ্গনে স্থাপন করা হয়েছে একশ’র বেশি শৌচাগার, গোসলখানা ও অজু করার স্থান। এছাড়াও ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। এর আগে, ইজতেমার আয়োজকরা প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি দেন। তবে তারা কোনো অনুমতি পাননি। তারপরও ইজতেমা আয়োজন করায় বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যান। একপর্যায়ে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) আবদুল কাদেরও ইজতেমা মাঠে আসেন। আয়োজকদের ইজতেমা বন্ধ করে নিজ নিজ এলাকায় চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তারপরও মুসল্লিরা সেখানে বয়ান করতে থাকেন। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ ও মাইকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় প্রশাসন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা। পরে অবশ্য বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়।

ইজতেমায় শুক্রবার জুমার নামাজে বিপুল পরিমাণ মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন।

ইজতেমা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকার খোলা মাঠে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারপর ২০১৮ সালে কুমারখালীর ছেউড়িয়া মন্ডলপাড়া সংলগ্ন গড়াই নদীর তীরে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবারই প্রথম জেলা শহরের বাইরে মিরপুর উপজেলার মশান এলাকায় ইজতেমা শুরু হয়েছে।

আয়োজক কমিটির একজন শাহীন আলী জানান, ঢাকায় চাপ কমানোর জন্য জেলায় জেলায় ইজতেমা হচ্ছে। আজও পাঁচ জেলায় একযোগে শুরু হয়েছে। আগে ৩০ জেলায় হয়েছে। এখানে খারাপ কিছু হচ্ছে না। এটি বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। ইজতেমায় কুষ্টিয়াসহ কয়েক জেলার মুসল্লিরা যোগ দিয়েছেন। অনেক বিদেশি মুসল্লিও অংশ নিচ্ছেন এই ইজতেমায়।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল কাদের বলেন, করোনাকালে কোথাও গণজমায়েতের অনুমতি নেই। জেলা প্রশাসন তাদের কোনো অনুমতি দেয়নি। তাই আয়োজকদের ইজতেমা বাতিল করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ইজতেমা চালিয়ে যাচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ