পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টানা ২২ বছর কারারক্ষী পদে চাকরি করার পর জানা গেল তিনি ভুয়া। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দক্ষিণ শশীদল গ্রামের ভুয়া কারারক্ষী তাজুল ইসলামকে স্থানীয় বাজার থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। এ সময় তার কাছ থেকে তিন সেট কারারক্ষী ইউনিফর্ম, জ্যাকেট, রেইনকোট, ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন নথি-পত্রাদি উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে র্যাব-১১ কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাকিব হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার শাহজাহানপুর গ্রামের মো. মঈন উদ্দিন খান ২০০১ সালে কারারক্ষী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজির হয়ে শারীরিক ফিটনেস, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হন। ওই নিয়োগ পরীক্ষায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া তাজুল ইসলাম অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন। পরে কৃতকার্য হবিগঞ্জের মঈনের পরিচয়, নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য সব কাগজপত্র নকল করে চাকরি নেন কুমিল্লার তাজুল ইসলাম।
২০২০ সালের শেষ দিকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে সিলেট বিভাগে প্রায় ২০০ জন কারারক্ষী সিলেটের স্থায়ী বাসিন্দা না হয়েও প্রায় ২০-২২ বছর যাবত চাকরি করে আসছে বলে সংবাদে প্রকাশিত হয়। এরপরই মঈনের ঘটনাটি সামনে আসে। পরে মঈন এটি নিয়ে আদালতে মামলা করে। মামলার পর তাজুল ইসলাম তাকে ১০ লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে মঈন রাজি না হলে তাজুল আত্মগোপনে চলে যান।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম নামের ভুয়া মইনকে খুঁজতে থাকে। এরমধ্যেই তাজুল লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় র্যাবের সহায়তা চান ওই তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে তার পরিচয় শনাক্ত করে র্যাব। পরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।