বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক রিক্সাচালককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের খোর্দ কেউচিয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে খন্দকার খিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান, সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের নাম মোহাম্মদ ইউচুপ (৩৫)। ইউছুপ মৃত আব্দুল জাব্বারের ছেলে। তার বাড়ি সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনা গ্রামে হলেও তিনি খোর্দ কেউচিয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে খন্দকার খিল এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ৯ জানুয়ারি সোমবার বিকাল পাঁচটার সময় অজ্ঞাতনামা একজন চোর ইউছুপের বাড়িতে ঢুকে। এসময় ইউছুপ প্রথমে কক্ষের মধ্যে ঐ লোককে আটক করে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারদের ঘটনা অবহিত করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন জডো হয়ে অজ্ঞাতনামা যুবককে আটক করে তার পরিচয় জানতে চাইলে তার নাম শওকত ও বাড়ি পদুয়া ইউনিয়নে বলে জানান। এদিকে একটি মধ্যে পদুয়া এলাকার সাইফুল ও সাগরের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শওকতকে লোকজনের হাত থেকে ছাডিয়ে নিয়ে শওকতকে আটক করা ইউছুপের ধরে মারধর করে করে নিয়ে আসা কালে স্থানীয় লোকজন জডো হয়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দিলে তারা ইউছুপের ছেড়ে শওকতকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে লোকজন গুরুতর আহত ইউসুফকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।
লোহাগাডা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোঃ রায়হান উদ্দিন জানান, ছদাহায় মারামারির ঘটনায় এক বৃদ্ধকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার পূর্বে ইউসুফ মারা যায়। ধারণা করা হচ্ছে মারামারিতে লোকটি মাথায় আঘাত পায়। এতে রক্তক্ষরণে মারা যেতে পারে। তবে শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।খবর পেয়ে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান, সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন । বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতকানিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি
এ ঘটনায় কারা জড়িত এটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।