পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা চাই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু সেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের একমাত্র এবং প্রধান বাধা শেখ হাসিনা। তিনি যতক্ষণ ক্ষমতায় থাকবেন, ততক্ষণ পুলিশ, র্যাব, আদালত, প্রশাসন বাধা থাকবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে, পুলিশ জনগণের পক্ষে কাজ করবে। পুলিশ আর কখনো জনগণের উপর অত্যাচার করবে না। জনগণের খাদেম হিসেবে কাজ করবে। একারণে আমরা বলছি, আগামী সুষ্ঠ নির্বাচনের একমাত্র পথ হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সরকার পদত্যাগ করলেই খালেদা জিয়াসহ নেতারা মুক্তি পাবে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাসসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁও জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ গণতন্ত্র চান। জনগণ তাদের ভোট নিরাপদে দিতে চায়। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে পারলে, বাংলাদেশ মুক্ত হবে। মানুষ ভোট দিতে পারবে। আজকে আদালত, সরকারসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসব কিছু শেখ হাসিনার কথায় চলে। সকালে শেখ হাসিনা যা বলেন দুপুরে আদালত তাই করেন। ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদরা টেলিভিশনে যা বলেন আদালতে সেই মোতাবেকই রায় হয়। এসব দেখেই বুঝা যায় আদালত স্বাধীন নয়। স্বাধীনভাবে কাজ করতে চায়ও না। সেই কারণে আমাদের আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। ফ্যাসিবাদ সরকার কখনো নিরস্ত্র জনগণের সঙ্গে সংগ্রাম করে টিকতে পারবে না। আগেও পারেনি। শেখ হাসিনার পতন অনিবার্য।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের নেতাদের মুক্তি কার কাছে চাইবো। তিনি আমাদের দলের শীর্ষনেতাদেরকে ধরেছেন, তিনি তো ছাড়বেন না। আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত একবার বলেছিলেন, ‘বাঘে ধরলে বাঘে ছাড়ে হাসিনা ধরলে কাউকে ছাড়ে না’। তাই এই সরকারের কাছে মুক্তি চেয়ে লাভ নেই।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার সমাবেশ নিয়ে সরকার অমানবিক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। আমাদের নেতা ডা. জাহিদের কাছে সমাবেশ করার অনুমতি পত্র দিয়ে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে রাতের অন্ধকারে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। নানা নাটকীয়তার পরে জেলখানায় পাঠায়। তাদেরকে ৭ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে সংর্ঘষের ঘটনায় উস্কানিদাতা হিসেবে জেলে পাঠানো হয়েছে। অথচ মামলার এজাহারে তাদের নাম নেই। তারপরও নিম্ন আদালতে তাদের জামিন মিলেনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমার আদালতকে একটি কথাই বলতে চাই, আমরা ন্যায় বিচার চাই। যাদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে, তাদের নিয়ে আমরা আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই। আমরা করুনা চাই না। এতো দিন আমরা ন্যায় বিচার পাইনি।
খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার পায়নি উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের নেত্রী ন্যায় বিচার চেয়েছিলো। তার উপর ন্যায় বিচার করা হয়নি। অবিচারের সম্মুখিন হয়েছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে খালেদা জিয়া ব্যতিত এমন কোন নজির নেই যে, এ সংক্রান্ত মামলা কেউ জামিন পায়নি।
তিনি বলেন, আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। বিচার বিভাগ যদি আলাদা হতো, বিচারপতিরা যদি বলতে পারতো যে তারা স্বাধীন। তাহলে আমরা ন্যায় বিচার পেতাম। কিন্তু এখন আমাদের ন্যায় বিচার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমরা আর আমাদের নেতাদের মুক্তি চাইবো না, এখন তাদেরকে মুক্ত করবো। আমরা গণতন্ত্র, গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ সকল নেতাকর্মীদের আমার মুক্ত করবো।
সংগঠনের সভাপতি সোহেল রানার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ওমর ফারুক সাফিন, কামাল আনোয়ার আহম্মেদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।