পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে না দিলে বিএনপিও এদেশে শান্তিতে থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ১৪ দলীয় জোট। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন এই জোটের নেতারা বলছেন, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে মাঠে নেমেছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। নির্বাচন না হলে বিএনপিও শান্তিতে থাকতে পারবে না। মহান বিজয় ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন ১৪ দলের নেতারা। গতকাল সোমবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জোটের নেতারা বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবারও মাঠে নেমেছে। তারা শেখ হাসিনার সরকারকে পতন করে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। এদেরকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করতে ১৪ দল ও আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি হলো ষড়যন্ত্রকারী। বিজয়ের মাসে ষড়যন্ত্র করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। বিএনপি সংবিধান পরিবর্তন করার জন্য কমিটি গঠন করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, তবে তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্য কখনো সফল হবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আমরা বিএনপিকে রাজনীতি করার অনুমতি দিতে পারি না। তারা বিজয়ের মাসে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে বিশৃংখলা করার পাঁয়তারা করছে। আবার ডিসেম্বর মাসে তারা ১০ দফা দাবি দিয়েছে। বিএনপি হলো ভুয়া তাদের দিয়ে কোনো কাজ হবে না। কোনো ষড়যন্ত্র করলে তাদেরকে কঠোভাবে প্রতিহত করা হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মূল্য নষ্ট করার চক্রান্ত করছে। বিশ্বের বুকে যখন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটা মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং ২০৪১ সালের উন্নত দেশে গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন তখনই বিএনপি-জামায়াত আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, যারা বলছেন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। নির্বাচন না হলে আপনারা (বিএনপি) শান্তিতে থাকতে পারবেন না। কারণ, কাদের হাতে ক্ষমতা চলে যাবে সেটা বুঝতে হবে। আগামী দিনে নতুন বিজয় ছিনিয়ে আনার জন্য জোটের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সাম্যবাদীর দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি দেশের নেতৃত্বে না থাকলে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে। তাই আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।
ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তি যদি ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের মাটি কোনো ষড়যন্ত্র করতে পারবে না। তারা যদি দেশের মধ্যে থেকে কোনো ষড়যন্ত্র করে তাহলে তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন যথাসময় অনুষ্ঠিত হবে।
জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি দেশকে এগিয়ে নিতে চায়। বিএনপি-জামায়াত তা বাধাগ্রস্ত করছে। তারা অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চায়।
তরিকত ফেডারেশন চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন স্বাধীন দেশ আর তার সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা দিয়েছেন সোনার বাংলা। বিএনপি-জামায়াতকে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে আর ছাড় দেওয়া হবে না। আগামী নির্বাচন হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষার নির্বাচন।
গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীরাই এখন আবার দেশের মধ্যে ষড়যন্ত্র করেছে। বাংলাদেশের মানুষ মাথানত করতে জানে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করবে তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে।
গণ আজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা এখনো ষড়যন্ত্র করতে চায়, এই বিরোধী শক্তিকে আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। সকল মিলে তাদের প্রতিহত করতে হবে।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, বিএনপি যতবার ষড়যন্ত্র করতে মাঠে নামবে ততবার তারা পরাজিত হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা, দেশের উন্নয়নকে নিয়ে যখনই ষড়যন্ত্র হয় তখনই ১৪ দল প্রতিরোধ গড়ে তুলে। এসব দেশবিরোধী শত্রুদের জয় বাংলা সেøাগান দিয়ে প্রতিহত করতে হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে ভয় পায় না, নিজের গতিতে চলে। আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।