পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন আত্মহত্যা করেছে; পুলিশ ও র্যাবের এমন বক্তব্য ও দাবির পক্ষে দু’টি সংস্থা বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ দেখিয়েছে। এতে মোটামুটি সন্তোষজনক উত্তর পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফারদিনের সহপাঠী বুয়েট শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান বুয়েট শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে কর্মসূচি আপাতত স্থগিত ঘোষণা করেছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা তাদের র্যাব ও ডিবি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় মূলত পাঁচটি বিষয়ে প্রশ্ন তুলি। তাদের দেখানো এভিডেন্স এবং ডাটার মধ্যে আমাদের করা প্রশ্নগুলোর মোটামুটি সন্তোষজনক উত্তর পেয়েছি। তাদের তদন্ত বা যা ডাটা দেখিয়েছেন এতে আর সন্দেহ করার মতো তথ্য আমাদের কাছে নেই। আপাতত ফারদিনের মৃত্যুর বিষয়ে আমাদের আর কোনো কর্মসূচি নেই। তবে ফারদিনের পরিবার যদি যৌক্তিক কোনো কিছু দাবি করেন আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। তবে আমাদের কাছে এই বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ বা প্রশ্ন করার মতো কোনো এলিমেন্ট নেই। ভবিষ্যতে যদি নতুন করে কোনো তথ্য আসে তখন বিষয়টি নিয়ে আবার কথা বলব।
ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে পর পর দুই দিন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষার্থীরা গতকাল এই সিদ্ধান্ত জানান।
ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর র্যাব ও ডিবি দাবি করে, ফারদিনকে হত্যা করা হয়নি। তিনি ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। র্যাব ও ডিবির তরফ থেকে এসব কথা জানানোর পর গত বৃহস্পতিবার বুয়েট শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছিলেন একদল শিক্ষার্থী। পরে ডিবি কর্মকর্তাদের আহ্বানে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল আত্মহত্যার প্রমাণের জন্য মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান। ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে তাদের দুই ঘণ্টা আলোচনার হয়।
এর পর গত শুক্রবার বিকেলে বুয়েটের ২০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল উত্তরা র্যাব সদর দফতরে যায়। সেখানে তারা ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে শিক্ষার্থীরা জানান, ফারদিনের মৃত্যুর পেছনে যেসব কারণ এবং তথ্য-প্রমাণ র্যাব তদন্ত করে পেয়েছে, সেগুলো বিস্তারিত তাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত ৪ নভেম্বর ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এক মাসের বেশি সময় তদন্তের পর গত বুধবার র্যাব ও ডিবি দাবি করে, ফারদিন ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আত্মহত্যার কারণ হিসেবে ডিবি পারিবারিক চাপ, দুই ভাইয়ের পড়াশোনার টাকা জোগানো, ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়া ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে স্পেনে যাওয়ার টাকা সংগ্রহ করতে না পারাকে উল্লেখ করে।
তবে এ দাবি মানতে নারাজ ফারদিনের বাবা ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।