পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘুরে দেখে পুলিশি অভিযান ও তল্লাশিতে তছনছ করার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি বলেন, আজকে বিএনপি যেভাবে সমগ্র দেশে নেতৃত্ব দিচ্ছে, এককভাবে, সমগ্র পৃথিবী এটা দেখছে। শতকরা ৯০ ভাগ লোক বিএনপির পক্ষে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় তিনি বিএনপি কার্যালয়ে যান। এসময় তাকে স্বাগত জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এলডিপির নেতাদের প্রতিটি কক্ষ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখান।
বিএনপি কার্যালয় ঘুরে দেখে অলি আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, এই হামলা ও বর্বরতা এই সরকারকে পৃথিবীর কাছে নগ্ন করে দিয়েছে। পৃথিবী মানুষ বুঝতে পেরেছে এরা (সরকার) কত জঘন্য, এরা কত বর্বর, এরা যে সভ্য সমাজের বসবাস করার উপযুক্ত নয়।
আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, এই সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এলডিপি সবসময় বিএনপির সাথে একসঙ্গে কাজ করে যাবে।
সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে নিয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে এই সরকারকে বিদায় করতে যা যা করা দরকার, তা আমাদের করতে হবে। তবে আমাদের কর্মসূচি আইন অনুযায়ী হবে, সংবিধান অনুযায়ী হবে। তারা যতই অন্যায় করুক না কেন, আমাদের তাদের পাতা ফাঁদে পা দেব না।
সরকারের উদ্দেশে অলি আহমদ বলেন, তারা (ক্ষমতাসীনরা) মনে করছে এই সরকার বোধহয় কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। তাদেরকে বুঝতে হবে কোনো স্বৈরাচার দীর্ঘ কোনো দেশে রাজত্ব করতে পারেনি। এখন তারা রাজত্ব করছে, দেশ চালাচ্ছে না। যেখানে গণতন্ত্র নেই, স্বৈরাচারী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসহ গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবিও জানান।
এসময় অলি আহমেদের সঙ্গে ছিলেন এলডিপির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আওরঙ্গজেব বেলাল, নিয়ামুল বশির, সৈয়দ মনজুর মোর্শেদ, সাকলাইন, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমান, মাহে আলম চৌধুরী, বিলাল হোসেন মিয়াজি, কফিল উদ্দিন, আবুল হাসেম ভুঁইয়া, হাফিজুর রহমান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের অফিসে ঢুকে এভাবে ভাংচুর-লুটপাট এটা স্বাভাবিক না। এটা সরকারের ভেতরে এক ধরনের অস্থিরতা, এক ধরনের দূর্বলতাই প্রকাশ পায়। আমরা মনে করি, এর প্রতিবাদ-প্রতিবিধান হওয়া দরকার। এ দেশটাকে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন করেছি, এই দেশটাকে কারও খেলার বস্তু বানানো যায় না। তারা খেলার কথা বলে। রাজনীতি তাদের কাছে খেলা। তাদেরকে এই নোংরা খেলা থেকে বিরত করার জন্য বৃহত্তর ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
আরো যেসব দলের নেতারা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন: গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যান জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, নুরুল কবির পিন্টু, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, ফারুক রহমান, , জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, রফিকুল ইসলাম। এছাড়া এলডিপির একাংশের শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির আবু তাহের, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, এসএম শাহাদাত, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলামও বিএনপি কার্যালয়ে যান।
সবশেষে বিএনপি কার্যালয় পরিদর্শনে যান এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব ফরিদউদ্দিন, ডিএলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল করিম খান, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।