পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণতন্ত্র পুনুরুদ্ধারে বিএনপি এবার সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি দিয়েছে। রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে গতকাল অনুষ্ঠিত ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপির এই ১০ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ২০ দলীয় জোটের বিভিন্ন শরিক দল এবং গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল। তারা বিএনপি’র ১০ দফা দাবিকে জাতির মুক্তির সনদ হিসাবে অখ্যায়িত করে এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। ২০দলীয় জোটের ১১ দলের শীর্ষ নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বিএনপির ঘোষিত ১০ দফা গ্রহণযোগ্য এবং এটা জাতির মুক্তির সনদ। দেশের গনতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার এ সনদকে তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন।
নেতারা বলেন, রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠ এখন সারা বিশ্বের দৃষ্টিতে সবচেয়ে আলোচিত স্থানে পরিণত হয়েছে। অখ্যাত গোলাপবাগ এখন ঐতিহাসিক মর্যাদা লাভ করলো। এই মাঠে স্বৈরাচারের পতন, গণতন্ত্র পূন:প্রতিষ্ঠা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ থেকে ১০ দফা মুক্তির সনদ ঘোষিত হচ্ছে। আমরা এই ১০ দফা দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি এবং যুগপথ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি ঘোষিত সকল নির্দেশনা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। সেই সাথে চলমান আন্দোলনে নিহত সকল সহযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
বিএনপির ১০ দফার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ১০-দফা দাবির ভিত্তিতে দেশব্যাপি যুগপৎ গণআন্দোলন গড়ে তোলতে হবে। রাজধানীর একটি স্থাানীয় মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিাতিতে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য প্রদান ও কর্মসূচি ঘোষণাকালে জামায়াতে ইসলামীর আমীর এ কথা বলেন।
বিএনপির ১০ দফার প্রতি সমর্থন জানিয়ে যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা হলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীরপ্রতীক, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এডভোকেট বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফুর রহমান, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, এনডিপি চেয়ারম্যান ক্বারী মোহাম্মদ আবু তাহের, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, মুসলিম লীগের মহাসচিব এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়াতে ওলামা ইসলামের মহাসচিব মহিউদ্দিন একরাম ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম। এ ছাড়া পৃথক বিবৃতি প্রদান করেন ডিএলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুউদ্দিন আহমদ মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের এম এন শাওন সাদেকী।
বিএনপির ১০ দফার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে সাত দলের সমন্বয়ে গঠিত গণতন্ত্র মঞ্চ। জাসদ সভাপতি ও মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা আ স ম আবদুর রব বলেন, এই ১০ দফার প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে। এবার এই ১০ দফার উপর ভিত্তি করে আমাদের যুগপৎ আন্দোলন শুরু হবে।
বিএনপির ১০ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মনজু বলেন, ১০ দফা গ্রহণযোগ্য, এই দাবি জাতীয় সমঝোতা দলিলের প্রাথমিক খসড়া, দেশের গনতন্ত্রকামী প্রতিবাদী মানুষের অধিকারের সনদ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গতকাল পল্টনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ১০ দফার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, গণতন্ত্র হত্যা এবং ভোটাধিকার হরণের দায়ে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী সরকারকে চলমান পার্লামেন্ট ভেঙে অবিলম্বে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
বিএনপির ১০ দফাকে স্বাগত ও সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, জনগন আওয়ামী জুলুম নির্যাতন দুর্নীতি লুটপাট ও অর্থপাচার থেকে মুক্তি চায়। ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের সাইরেন বেজে উঠেছে। তাই সকল দেশপ্রেমিক গনতন্ত্রকামী শক্তিকে বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলন সংগ্রামে শামিল হওয়ার উদাত্ত আহবান জানাই। লেবার পার্টি ১০ দফা দাবী আদায়ে জনমত গঠন ও তীব্র আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে রাজপথে সক্রিয় ভুমিকা রাখবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।