মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কঠোর নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে যুগান্তকারী প্রতিবাদের মাত্র এক সপ্তাহ পরে চীন তার সবচেয়ে গুরুতর কোভিড নীতিগুলি বাতিল করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্পে থাকতে বাধ্য করার মতো নিয়মও। কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিরা এখন রাষ্ট্রীয় সুবিধার পরিবর্তে বাড়িতে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারেন যদি তাদের হালকা বা কোন লক্ষণ না থাকে। তাদের আর বেশির ভাগ স্থানের জন্য পরীক্ষা দেখানোর প্রয়োজন নেই, যদিও স্কুল এবং হাসপাতালের জন্য একটি পিসিআর পরীক্ষা প্রয়োজন।
বেইজিংয়ের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বা এনএইচসি-র তরফে জারি করা নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে, নিভৃতবাস ও গণহারে করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেয়া হবে। এছাড়া উপসর্গহীন এবং যাদের মৃদু উপসর্গ রয়েছে তাদের আর সরকারি নিভৃতবাসে রাখা হবে না। বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে পারবেন তারা। নিউট্রিক অ্যাসিড পরীক্ষা এবং ঘনঘন কোভিড পরীক্ষারও প্রয়োজন নেই বলে নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই ‘কোভিড শূন্য’ নীতিতে ছাড় দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী সান চুলান। কোভিডের অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। লকডাউনের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু ছাড় দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।
‘কোভিড শূন্য’ নীতিকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে চীনের পরিস্থিতি। সাংহাইতে প্রথমে শুরু হয় আন্দোলন। পরে তা ধীরে ধীরে রাজধানী বেইজিংয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছিল গুয়াংঝাও ও শিনজিয়ান প্রদেশেও। এর মধ্যে গুয়াংঝাওতে গণঅভ্যুত্থান তীব্র আকার নিয়েছিল। বেশ কয়েকটি জায়গায় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষও বেঁধে গিয়েছিল। আন্দোলনকারীদের উপর নির্বিচারে চীনা পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলেও ওই সময় অভিযোগ উঠেছিল। যা পুরোপুরি অস্বীকার করে জিনপিং প্রশাসন।
‘কোভিড শূন্য’ নীতি প্রয়োগ করতে গিয়ে চীন জুড়ে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। এর মধ্যে সাংহাইতে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাতে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। ওই ঘটনার পরই গণবিক্ষোভ চীনে দানা বেঁধে হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, লকডাউন থাকার জন্যেই ওই বহুতল থেকে কেউ বাইরে বেরতে পারেননি। লকডাউনের নামে সংক্রমিতদের হত্যার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন আন্দোলনকারীরা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ ঠেকাতে বয়স্ক জনসংখ্যার টিকাদানকে ত্বরান্বিত করা গুরুত্বপূর্ণ। হংকং ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইভান হাং এই সপ্তাহের শুরুতে বিবিসিকে বলেন, ‘চীনের সবচেয়ে কম ক্ষতির সাথে কোভিড থেকে বেরিয়ে আসার প্রধান উপায় হল টিকা এবং তিন ডোজ টিকা দেয়া আবশ্যক।’ সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।