পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চলমান বর্বরোচিত নির্যাতনকে সুযোগ হিসেবে নিতে পারে আইএস। এই নির্যাতনের ফলে মুসলিম বিশ্বে সৃষ্টি হওয়া গণঅসন্তোষ কাজে লাগিয়ে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে
বিদেশি যোদ্ধা জড়ো করতে
পারে তারা
ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে লড়াইয়ে নামতে পারে জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সিঙ্গাপুরের অনলাইন নিউজ পোর্টাল টুডে অনলাইন সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমনই চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ করেছে। জনপ্রিয় এই সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন নিরাপত্তা বিশ্লেষকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর ভয়াবহ যে নির্যাতন হচ্ছে তার সুযোগ নিতে পারে আইএস। সন্ত্রাসবাদ বিশ্লেষক আল-চাইদার জানান, আইএসের প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি নিজে দক্ষিণ ফিলিপাইনকে আইএসের পরবর্তী টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। এই বিশ্লেষক আরো বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চলমান নির্যাতনকে সুযোগ হিসেবে নিতে পারে আইএস। এই নির্যাতনের ফলে মুসলিম বিশ্বে সৃষ্টি হওয়া গণঅসন্তোষ কাজে লাগিয়ে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিদেশি যোদ্ধা জড়ো করতে পারে তারা। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলে খুব শিগগিরই জঙ্গি তৎপরতা শুরু হতে পারে। আর তাতে সফল হলে রোহিঙ্গাদের বাঁচানোর নামে যেকোনো সময় মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণাও দিতে পারে আইএস। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মালয়েশিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল জুলকিফেলি মোহাম্মদ জিন চলতি সপ্তাহের শুরুতে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং লাইং এবং মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কিউয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তার এই শঙ্কার কথা জানান। মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীও এ বিষয়ে সতর্ক করেছে মিয়ানমারকে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধানের তাগিদও দিয়েছেন তারা। মিয়ানমার সফরের সময় মালয়েশিয়ার সেনাপ্রধান বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা ও সার্বিক পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে আইএস। আন্তর্জাতিক এই জিহাদি গোষ্ঠী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের ক্ষমতা ও প্রভাব বাড়াতে পারে। এদিকে, শুধু মিয়ানমার নয়, ফিলিপাইনেও ঘাঁটি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আইএস, যা পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্যও একটি বড় নিরাপত্তা সমস্যা। ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনী বিষয়টি নিয়ে সরকারকে সতর্ক করেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে উত্থানের পর ইরাক ও সিরিয়ায় খেলাফত ঘোষণা করে আইএস। ফিলিপাইনের মিন্দানাও অঞ্চলে আইএসের অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে। ওই এলাকায় আইএসের অপহরণের ঘটনাও ঘটছে অহরহ। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের বিনিময়ে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় আটকদের মুক্ত করারও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। টুডে অনলাইনর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় ক্ষোভ দেখা গেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক চলমান এই নিপীড়নকে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন। দেশটির যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী খাইরি জামালুদ্দিন আসিয়ান জোট থেকে মিয়ানমারের সদস্য পদ স্থগিত করার বিষয়টি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে মালয়েশিয়ার এই ক্ষোভের বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি মিয়ানমার। ফলে মিয়ানমার তার দেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে। নাজিব রাজাকের গণহত্যার অভিযোগকে অসমর্থিত এবং অযাচিত অভিযোগ বলে পাল্টা ক্ষোভ জানায় নেইপিডো সরকার। মালয় মেইল অনলাইন, স্ট্রেইটস টাইমস, ইনকিউরার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।