Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ল্যান্ডমাইনের ব্যবহার বাড়াচ্ছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ক্রমশ স্থলবোমার (ল্যান্ডমাইন) ব্যবহার বাড়াচ্ছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। তারা নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করে মানুষ হত্যা করছে। দশকের পর দশক ধরে বেসামরিক মানুষজনকে বিকলাঙ্গ করে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিভাগের গবেষক শায়না বুচনারের লেখা এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে তিনি লিখেছেন, আন্তর্জাতিক মাইন নিষিদ্ধ বিষয়ক চুক্তি গৃহীত হওয়ার পর ২০২২ সালে পাড় হচ্ছে ২৫ বছর। তারপর শুধু দুটি দেশ সক্রিয়ভাবে জনবিরোধী ল্যান্ডমাইন ব্যবহার করছে। তারা হলো রাশিয়া ও মিয়ানমার। ১৯৯৯ সাল থেকেই ল্যান্ডমাইন ব্যবহার করছে মিয়ানমার। কিন্তু ২০২১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর সামরিক জান্তা নতুন করে এর ব্যবহার বৃদ্ধি করেছে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত ল্যান্ডমাইন মনিটর রিপোর্ট-২০২২’তে এ কথা বলা হয়েছে। সামরিক জান্তার প্রস্তুতকৃত শত শত ল্যান্ডমাইন এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে তা পুঁতে রাখার ছবি বিশ্লেষণ করেছে ওই রিপোর্ট। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লান্ডমাইন বিস্ফোরিত হয়ে মিয়ানমারে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫৭ জন বেসামরিক ব্যক্তি। আহত হয়েছেন ৩৯৫ জন। হতাহতের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই শিশু। বাড়িঘর, গ্রামের রাস্তা, চার্চের চত্বরে এমন কি কৃষিজমিতে ল্যান্ডমাইন পেতে রেখেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। সামরিক বিভাগ বেসামরিক লোকজনকে মানবঢাল হিসেবে অব্যাহতভাবে ব্যবহার করছে। আওঙ্গ গয়া থোয়াই তনচঙ্গা (২২) বলেছেন, ১৬ই সেপ্টেম্বর তিনি সীমান্ত এলাকায় গবাদি পশু চরাচ্ছিলেন। তার ভাষায়, কখনো কখনো আমাদের গবাদিপশু সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারে প্রবেশ করছিল। তাই তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে যাই। বুঝতে পারিনি ওপাড়ে মাইন পোঁতা আছে। একটি মাইনের ওপর বসামাত্রই তা বিস্ফোরিত হয়। এতে চেতনা হারাই। যখন হুঁশ ফেরে দেখতে পাই আমার বাম পা নেই। এখনও তাতে ব্যথা আছে। আগস্টে রাখাইন রাজ্যজুড়ে জাতিগত সশস্ত্র গ্রæপ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সামরিক জান্তার লড়াই ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে সেনাবাহিনীর হাতে তৈরি কয়েক ডজন মাইন উদ্ধার করে তারা। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইনের কারণে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব এলাকায় তনচঙ্গার মতো বেসামরিক লোকজন কাঠ সংগ্রহে যান, কৃষিকাজে যান এবং গবাদি পশু চড়াতে যান। স¤প্রতি মাইন বিস্ফোরিত হওয়ার আগে সীমান্তে সেনাবাহিনীর তৎপরতা প্রত্যক্ষ করার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এইচআরডবিøউ।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ