গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সরকার কোন পদ্ধতিতে পদত্যাগ করবেন ঢাকার ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশে বলে দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী সরকারকে প্রস্তুতি নেবার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছেন, ১০ তারিখ আমরা সরকার কে জানাবো কিভাবে তারা পদত্যাগ করবেন। আমরা যা কিছু করব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়ে করব। বিএনপি তো সর্বহারা পার্টি না বা আড়ালে আবডালে থাকা দল না। যে গোপনে কোন কিছু করব। সুতরাং ১০ তারিখ আমরা ঘোষণা দিব এই ঘোষণা অনুযায়ী আপনারা প্রস্তুতি নিবেন। আর আমাদের (বিএনপির) প্রস্তুতি আপনাদের (আওয়ামী লীগ) মোকাবেলা করে না, বরং পরাস্ত করা।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে 'বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এডভোকেট আফসার আহমদ সিদ্দিকী'র ২১ তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভাটির আয়োজন করে আফসার আহমদ সিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
সরকারের পদত্যাগের বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, হয় পদত্যাগ করবেন না হয় পদত্যাগে বাধ্য করব। কিসের জন্য বাধ্য করবো; ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না। জনগণের ভোটাধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। দেশের মালিক জনগণ। কোন ব্যাক্তি, দল দেশের মালিক নন। যদি কেউ মনে করে দেশটা তার পৈত্রিক সম্পত্তি, তিনি দেশের রাজা, তিনি যা ইচ্ছা তা করবে। তা মনে করলে এটাকে আমরা সমাপ্তি করতে চাই। মোট কথা যারা দেশকে পত্তিক সম্পত্তি মনে করে তাদের সরাতে হবে।
ক্ষমতায় আসলে বিএনপি আদালত (বিচার বিভাগ) নিয়ন্ত্রন করবে না বলে জানিয়েছেন দলটির এই ভাইস চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মত আদালত নিয়ন্ত্রন বিএনপি করবে না। আপনার মত পুলিশকে দলীয় ক্যাডার হিসেবে বিএনপি ব্যবহার করবেন। পুলিশের এক শ্রেণীর লোক এবং যারা লুটপাট করেন, তারা মনেকরে শেখ হাসিনা না থাকলে তাদের কি হবে। এ কারণে তারা সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য নানা পরামর্শ দেন। অতীতে এমন ঘটনা ৫২, ৭০ এবং ৭৫ সালে ঘটেছে। যার পরিনতি ভাল হয়নি; খুব খারাপ ভাবে পতন হয়েছে তাদের।
প্রধান মন্ত্রীর অনুসারীরা যে টাকা লুট করেছে তাদিয়ে ২ বছরের বাজেট করা সম্ভব হবে বলে দাবি করেন গয়েশ্বর।
আফসার আহমদ সিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আহবায়ক জাহানারা সিদ্দিকী। সঞ্চালনা করেন ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব জামিল আহমদ সিদ্দিকী।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ.জেড.এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।