পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে বিএনপি সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগণের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেন। স্বেচ্ছায় যদি আপনি পদত্যাগ করে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেন, জনগণ আপনাকে ক্ষমা করলে করতেও তো পারে।
কিন্তু সর্বশেষ পর্যন্ত আপনি যদি আপনার ইগো নিয়ে থাকেন, আপনি ওমুকের কন্যা, আমি ওমুক এসব বলে থাকেন, তাহলে ক্ষমা তো দূরের কথা; অনেক কিছু ভাগ্যে জুটবে না। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) উদ্যোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। জঙ্গিবাদের তকমায় বিদেশিদের আর ভোলানো যাবে না মন্তব্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিদেশিদের কাছে তকমা দিয়েছেন জঙ্গিবাদের আর মৌলবাদের। বিদেশিদের চোখ পরিষ্কার হয়ে গেছে। এগুলো শুধু নাটক আর নাটক। আজকে এসব তকমা চলে না। একটা তকমা চলে, গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জাতিকে সহযোগিতা করুন এবং বিএনপি বলেনি, আপনি নামেন, আমি ক্ষমতায় যাব। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, ভোট আমাকে না-ই বা দিলেন, আপনার ভোটের অধিকারের জন্য আন্দোলন করছি, আমাকে সমর্থন করুন।
স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে বিএনপি আন্দোলন করবে না জানিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমাদের ১০ দফা বহু কথা। আমরা আপনার পতন ঘটাতে চাই। তবে এর আগে যদি আপনি পদত্যাগ করেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুনরুজ্জীবিত করেন তাহলে পতনের আন্দোলন করার দরকার নেই আমাদের। আর না করলে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাবে। তখন আমাদের পিছন হটার সময় থাকবে না। সামনে আমরা গুলি খেতে পারি। এছাড়া আপনার পতন রোধ করার শক্তি বাংলাদেশে নেই, বিদেশেও নেই।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই জনগণের দাবির কাছে যদি আপনি নত স্বীকার করে পদত্যাগ করেন, গণতন্ত্রের পরিবেশ সৃষ্টি করেন অবশ্যই বিএনপি একটি সহনশীল দল। খালেদা জিয়া একজন অত্যন্ত মহানুভব, তিনি ক্ষমা করতে জানেন। তিনি মানুষের ওপর অত্যাচার করবেন না এবং জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন ক্ষমাশীল ব্যক্তি। সুতরাং সেই দলের নেতাকর্মীরা অবশ্যই আপনাদের নিরাপদ জীবনের জন্য ভবিষ্যতে সহযোগিতা করবে শুধু গণতন্ত্রের বন্ধ দুয়ার খোলার জন্য। তাই রক্তপাত ঘটাবেন না, কথায় কথায় গুলি করবেন না। পুলিশকে জনগণের শত্রু বানাবেন না।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিদেশিরা সেঙ্কশন আর কত দেবে। জনগণ সেঙ্কশন দিয়ে বসে আছে। সুতরাং জনগণের সেঙ্কশন মোকাবিলা করা কঠিন কাজ, এটা কখনো কেউ পারেনি। সে জন্য আবার বলছি, এনাফ ইজ এনাফ। ১৫ বছরে বহু লুট করেছেন, বহু মায়ের বুক খালি করেছেন, অনেক গুম করেছেন। বাকি সময়টা নিরাপদে শান্তিতে আল্লাহতায়ালা যে ক‘দিন হায়াত দিয়েছে, ততদিন বেঁচে থাকুন, দোয়া করি।
১০ ডিসেম্বরের ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতেই সরকার দলের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করাকে ‘অন্তঃসারশূন্য’ অভিহিত করে গয়েশ্বর বলেন, এসব করে ১০ তারিখের সমাবেশ সরকার বন্ধ করতে পারেননি। অবিলম্বে বিএনপি মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ নেতাকর্মীদের অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান তিনি।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে পেশাজীবী নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদ, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রফেসর শামসুল আলম, প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, প্রফেসর রফিকুল কবির লাবু, প্রফেসর গোলাম হাফিজ কেনেডি, প্রফেসর রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, প্রফেসর আনিসুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান চুন্নু, রাশেদুল হক, বিপ্লব-উজ জামান বিপ্লব, মির্জা লিটন, সাখাওয়াত হোসেন, এবিএম রুহুল আমিন, জহিরুল ইসলাম, মাহবুব আলম, আবু জাফর খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।