Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকারের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

শিশুরা জাতি ও দেশের ভবিষ্যৎ। এটা আজ নতুন নয়, মানুষ সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই হয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। উপরন্তু এটি নির্দিষ্ট কোনো দেশের বা অঞ্চলের জন্যও প্রযোজ্য নয়, সমগ্র বিশ্বের সব জাতি ও দেশের জন্যই প্রযোজ্য। তাই শিশুদের রক্ষা করার জন্য, শিশু অধিকার আইন বাস্তবায়ন করার জন্য, শিশুদের সুনাগরিক করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্বের প্রায় সব দেশ এবং জাতিই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। বর্তমানে এটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ, বৈশ্বিকভাবে গড় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে আর বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক দেশে জন্মহার এতো কম যে, জাতি বিলুপ্তির আশংকা দেখা দিয়েছে। তাই সেখানে সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে নানা উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। সিঙ্গাপুর, জার্মান, জাপান ইত্যাদি দেশ তার অন্যতম। বাংলাদেশেও গড় জন্মহার ক্রমান্বয়ে কমছে। জনশুমারি ও গৃহ গণনা-২০২২ এর প্রাথমিক ফলাফল মতে, দেশে এখন গড় জন্মহার ১.২২%, যা ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ছিল ১.৩৭% (এর দশ বছর আগে ছিল আরো বেশি। আরো দশ বছর আগে আরো বেশি ছিল)। অবশ্য, দেশে বর্তমানে ধনী, শিক্ষিত ও কর্মজীবী নারীর ক্ষেত্রে গড় জন্মহার বর্ণিত হারের চেয়ে কম আর গরিব, অশিক্ষিত ও কর্মহীন নারীর ক্ষেত্রে গড় জন্মহার বর্ণিত হারের চেয়ে অনেক বেশি। যা’হোক, গত ২৭ জুলাই প্রকাশিত জনশুমারি ও গৃহ গণনা-২০২২-এর প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, দেশে এখন মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। অবশ্য এই সংখ্যা কেউই বিশ্বাস করেনি। এ নিয়ে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয়। দলীয় লোকদের দিয়ে লোক গণনা করায় যেনতেনভাবে কাজ করার ও কাজ না করেও গোজামিল দিয়ে তথ্য প্রেরণ করার কারণেই এবং প্রবাসীদের গণনার মধ্যে না নেওয়ার কারণে এই অবিশ্বাস্য অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই লোক গণনার ভুল-ত্রæটি খুঁজে বের করার জন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি স¤প্রতি ধারণা দিয়েছে যে, দেশে বর্তমানে মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৮০ লাখ হতে পারে। যদিও অধিকাংশ মানুষের ধারণা, দেশে এখন মোট লোক সংখ্যা প্রায় ২০ কোটি। কিন্তু ধারণার চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবই গ্রহণযোগ্য। সে মতে, দেশে যদি লোক সংখ্যা এখন ১৮ কোটিই হয়, তাহলে তার অর্ধেকের বেশি শিশু ও কিশোর। অর্থাৎ দেশে এখন শিশু ও কিশোরের সংখ্যা ১০ কোটির অধিক। অথচ, বিশ্বের অধিকাংশ দেশের জনসংখ্যা ১০ কোটির অনেক কম। তাই শিশু ও কিশোরের সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ সৌভাগ্যবান। কারণ, তারা দেশের বিরাট সম্পদ। কিন্তু শিশুরা যদি রক্ষা না হয় তথা হত্যা, নানা নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার এবং মৌলিক অধিকার তথা শিক্ষা, খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান ইত্যাদি থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে উঠবে না। ফলে তারা দেশের সম্পদে পরিণত হওয়ার পরিবর্তে বোঝায় পরিণত হবে, যা হবে দেশের জন্য চরম অপূরণীয় ক্ষতি। পরিস্থিতি সেরূপই সৃষ্টি হয়েছে, যার প্রমাণ সা¤প্রতিক কিছু গবেষণা রিপোর্ট।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ কর্তৃক গত পাঁচ বছরে করা ২৬টি পৃথক গবেষণা রিপোর্ট মতে,দেশের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের একটি বড় অংশ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের ওপর চলছে যৌন নির্যাতন। সামাজিক ও পারিবারিকভাবে তারা অবহেলার শিকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেক কিশোর-কিশোরীর জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। গত ১৭ নভেম্বর প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টের সারসংক্ষেপ এসব বলা হয়েছে। রিপোর্টটি প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যাপক মো. আতিকুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় অনেক আইন-কানুন, সনদ থাকার পরও শিশু ও কিশোর-কিশোরীর প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। অপরদিকে, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ‘বাংলাদেশে নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতন চিত্র- ২০২১: ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, যৌন হয়রানি ও যৌতুক’ শীর্ষক এক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে কন্যা শিশুদের মধ্যে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ৪৫ শতাংশ কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার, ৫২ শতাংশ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এবং ৬৭ শতাংশ উত্ত্যক্ততার শিকার হয়েছে। আগের বছরগুলোর মতো গত বছরও নারীদের চেয়ে কন্যা শিশু বেশি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া, স¤প্রতি খবরে প্রকাশ, শ্রমজীবী শিশুদের জন্য দেশজুড়ে পরিচালিত হচ্ছে ২০৪টি বিশেষায়িত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে ছয়টি বাদে কোনটিতেই কারিগরি পাঠদানের ব্যবস্থা নেই। এসব খবরের বাইরে আরো অনেক নেতিবাচক খবর রয়েছে দেশের শিশুদের সম্পর্কে, যার অন্যতম হচ্ছে: দেশের শিশুদের বিরাট অংশ মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত, পথশিশু, ছিন্নমূল শিশু, পুষ্টিহীন শিশু, দরিদ্র শিশু, শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া শিশু, শিশু শ্রমিক ইত্যাদি। এসব শিশুর বিরাট অংশ মাদক কারবার, চুরি, ছিনতাই ইত্যাদি নানা অপরাধে সম্পৃক্ত। অপরদিকে, ধনী-গরিব নির্বিশেষে অধিকাংশ শিশু বিনোদন ও খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত। এসবের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় এটা হয়েছে। তাই শহরের শিশুরা ফ্ল্যাটে আর গ্রামের শিশুরা গৃহে বন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের অধিকাংশই সময় কাটানো ও বিনোদনের জন্য ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছে। তাই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ হচ্ছে না স্বাভাবিকভাবেই। তারা নানা ধরনের ক্ষতির শিকার হচ্ছে। নানা খারাপ চিত্র দেখে কুপথে ধাবিত হচ্ছে। শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেটে জুয়া খেলার হার বাড়ছে। অপরদিকে, অনেক শিশুকে মায়ের সাথে কারাগারে থাকতে হয়। শিশু আসামীর সংখ্যাও অনেক। মাদক কারবারিরা শিশুদের অর্থ দিয়ে মাদক বহনে ব্যবহার করে। রাজনৈতিক দলগুলোও অর্থ দিয়ে শিশুদের মিছিল-মিটিংয়ে নেয় এবং নাশকতার কাজে ব্যবহার করে। দেশের কর্মস্থলগুলোতে ডে কেয়ার সেন্টার এবং সামাজিকভাবে চাইল্ড কেয়ার হোম নেই বললেই চলে। ফলে কর্মজীবী নারীদের শিশুর অধিকাংশের খাওয়া, দেখা-শুনা ও পরিচর্যা ঠিকভাবে হয় না। তারা চরম অসহায় অবস্থায় থাকে। তাতে তারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে, দেশে কন্যা শিশু ও ছেলে শিশুর মধ্যে বৈষম্য প্রকট। এটা পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও সামাজিকভাবে হচ্ছে। শিশু ভিক্ষুকের সংখ্যা অনেক। তন্মধ্যে পঙ্গুর সংখ্যা বেশি। অনেক শিশুকে পঙ্গু করে কেনা-বেচা করা হয় ভিক্ষার কাজে ব্যবহার করার জন্য বলে জনশ্রæতি রয়েছে। দেশে অসংখ্য এতিম শিশু রয়েছে, যাদের অধিকাংশই বিভিন্ন এতিমখানায় অতি কষ্টে থাকে। সামান্য অপরাধের দায়ে শিশুর ওপর ব্যাপক নির্যাতনের খবর প্রায়ই প্রকাশিত হয় মিডিয়ায়! এসব অধিকারহারা শিশু সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠার পরিবর্তে ক‚নাগরিক হয়ে গড়ে উঠছে! ফলে তারা দেশের সম্পদের পরিবর্তে বোঝায় পরিণত হচ্ছে।

বর্ণিত বিষয়গুলো শিশুদের জন্য চরম ক্ষতিকারক। আর শিশুদের ক্ষতি মানে দেশের ক্ষতি। অথচ, দেশে শিশু অধিকার আইন, শিশু-কিশোর অপরাধ সংশোধন কেন্দ্র ও শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র আছে। এসব কার্যকর করার প্রয়োজনীয় লোকবল আছে, শিশু অধিকার দিবস পালিত হয় প্রতি বছরই। শিশুদের নিয়ে বহু সংগঠন রয়েছে। সর্বোপরি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৬.২ ধারায় শিশুদের শোষণ, নির্যাতন, পাচার ও শিশুদের বিরুদ্ধে সব নিপীড়ন বন্ধকরণ নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া আছে। তবুও কোনটিতেই আসল উদ্দেশ্য হাসিল হচ্ছে না। শিশু অধিকার আইন এবং অন্যান্য আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিশু নির্যাতন ও শিশুদের অধিকার হরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যাপারে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের অবস্থা স্মরণীয়। গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় সংসদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ব্যাপারে বলা হয়েছে, টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৩০০ আসনের বিপরীতে ৯০৯ শিশু রয়েছে। যশোরের পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ১৫০ জন ধারণক্ষমতার বিপরীতে ৩৫৩ শিশু রয়েছে। অর্থাৎ এখন শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোয় ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ শিশু আছে। তাই কমিটি আরও কিছু জায়গায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র করার এবং ‘শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে’র দৈনন্দিন খাবারের বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। অন্যদিকে, প্রকাশিত খবর অনুযায়ী অনেক সময় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের নিবাসী শিশু-কিশোরদের ওপর নির্যাতন করার এবং তাতে একাধিক শিশু মারা গেছে।

শিশু হত্যা, নির্যাতন ও শিশুদের অধিকার হরণ চলতে থাকলে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ ঘোর অন্ধকার। তাই এ অবস্থা চলতে দেওয়া উচিৎ নয়। বন্ধ করা অপরিহার্য। সে লক্ষ্যে শিশু হত্যা, শিশুকে সব ধরণের নির্যাতন, ধর্ষণ, উত্ত্যক্ত করা, অবহেলা, বৈষম্য, বাল্য বিবাহ ও শিশু শ্রম বন্ধ করতে হবে। শিশু হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণকারীদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করতে হবে। শিশু-কিশোর অপরাধ সংশোধনাগার ও শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সংখ্যা ও খাবারের বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। শিশু ভিক্ষুক, পথ শিশু ও ছিন্নমূল শিশুদেরসহ প্রতিটি শিশুর মৌলিক অধিকার নিশ্চিত এবং শিক্ষা থেকে শিশুদের ঝরে পড়া বন্ধ করতে হবে। সব সরকারি ও বেসরকারি কর্মস্থলে ডে কেয়ার সেন্টার চালু এবং সামাজিকভাবে প্রয়োজনীয় চাইল্ড কেয়ার হোম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রয়োজনীয় বিনোদন ও খেলা-ধূলার ব্যবস্থা করতে হবে। ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিকগুলো বন্ধ করতে হবে। তাহলে তাদের ইন্টারনেট আসক্তি বন্ধ হয়ে বিনোদন ও খেলার প্রতি ঝুঁকে পড়বে। তাতে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটবে স্বাভাবিকভাবে। এছাড়া, প্রত্যেক শিশুকে নৈতিক শিক্ষাসহ সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তবেই তারা সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারবে। জাতির ভবিষ্যৎ হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণ হবে। তাই শিশুদের রক্ষা করা ও সব অধিকার বাস্তবায়ন করা এবং সুনাগরিক করে গড়ে তোলা প্রতিটি পিতা-মাতা, আপনজন, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এছাড়া, শিশু অধিকার বাস্তবায়ন ও শিশুদের রক্ষার ক্ষেত্রে শিশু সংগঠনগুলোকে ব্যাপক সক্রিয় ভূমিকা পালন করা দরকার। মিডিয়ারও বলিষ্ঠ ভূমিকা প্রয়োজন।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]



 

Show all comments
  • hassan ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৫৩ পিএম says : 0
    বাংলাদেশের পথশিশু আছে লক্ষ্য লক্ষ্য বাংলাদেশ ছোট ছোট বাচ্চারা কলকারখানায় কাজ করে লক্ষ লক্ষ তারা আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের ট্যাক্সের টাকায় রাজা রানীর মত বাস করে পোলাও বিরিয়ানি খাই কি ধরনের মানবতা এদের আমাদের সব টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিশু

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন