মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বকাপ কাভার করতে কাতারে গিয়ে নিজের ব্যাগ খুইয়েছেন আর্জেন্টিনার এক নারী সাংবাদিক। চুরি যাওয়া ব্যাগ ফিরে পেতে থানায় অভিযোগ করতে যান তিনি। আর সেখানে গিয়ে পুলিশের বক্তব্য শুনে বেশ অবাক হয়েছেন।
ডমিনিক মেজগার নামে ওই নারী সাংবাদিক তোদো নোতিসিয়াস নামে একটি টিভির প্রতিনিধি হয়ে কাতারে গিয়েছেন। তিনি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগে রাজধানী দোহার করনিচ এলাকায় নিজের কাজ করছিলেন। তখনেই কেউ একজন তার ছোট হ্যান্ডব্যাগের ভেতর থাকা আরেকটি ব্যাগ চুরি করে নিয়ে যায়। ওই ব্যাগের ভেতর ওয়ালেট, হোটেলের চাবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল।
চুরির ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে স্থানীয় থানায় যান তিনি। সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তারা নিশ্চয়তা দেন ব্যাগটি ফিরিয়ে দিতে সব চেষ্টা করবেন। পুলিশ কর্মকর্তা তার কাছে জানতে চান, যে চোর ব্যাগ নিয়েছে তাকে ধরার পর কি ধরনের শাস্তি চান— কাতার থেকে বের করে দেওয়া নাকি পাঁচ বছরের জেল। এ বিষয়টিই অবাক করেছে তাকে।
নিজের টিভি চ্যানেলের কাছেই দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ অভিজ্ঞতার কথা জানান আর্জেন্টিনার এ নারী সাংবাদিক। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে আমার ছোট হ্যান্ডব্যাগ ছিল, যার মধ্যে প্রয়োজনীয় যা থাকার সব ছিল, আমার ওয়ালেট (মানিব্যাগ), আমাদের হোটেল রুমের চাবি, কিছু ন্যাপকিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দর্শকদের সঙ্গে নাচছিলাম। আমার বিশ্বাস তখনই কেউ ব্যাগের চেইন খুলে ওয়ালেটটি নিয়ে যায়। তখন আমি বুঝতে পারিনি। আপনি জানেন আমি সরাসরি সম্প্রচারে ছিলাম, পাশে ছিল দর্শক, উচ্চসরে গানের শব্দ। আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম এবং ওই দিকে নজর দিইনি।’
আর্জেন্টিনার এ নারী সাংবাদিক আরও বলেন, ‘সরাসরি সম্প্রচার শেষ হওয়ার পর, এক বোতল পানি কেনার জন্য আমার ওয়ালেটটি বের করতে যাই। কিন্তু দেখি সেখানে এটি নেই।’
আরেকটি জিনিস তাকে অবাক করেছে। সেটি হলো পুরুষ পুলিশ কর্মকর্তা তার বিষয়টি দেখেননি। এর বদলে নারী পুলিশের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের জিজ্ঞেস করি কেন আমি এখানে (নারী পুলিশের কাছে)। তখন আমাকে বলা হয়, আমি নারী তাই আমার বিষয়টি একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা দেখবেন।’
এরপরই তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় চোরকে খুঁজে পেলে কি ধরনের শাস্তি আশা করেন তিনি। পাঁচ বছরের জেল নাকি কাতার থেকে বের করে দেওয়া। জবাবে তিনি জানান, এটি আইনই দেখবে। আপাতত নিজের ব্যাগ ফিরে চান।
এদিকে বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্টেডিয়াম এলাকায় ১৫ হাজার নিরাপত্তা ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ফলে চোরকে সহজেই শনাক্ত করে ধরতে ফেলতে পারবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এবং পরক্ষণেই সেই ব্যাগ তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। সূত্র: জিও নিউজ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।